বাঘ মামার আশ্চর্য অভিযান
একুশে সংবাদ : ইনি হচ্ছেন আমাদের বাঘ মামা। চিড়িয়াখানার বা সুন্দরবনের বাঘ নয়, আমাদের এলাকার মহিউদ্দিন খান ওরফে বাঘ মামা। ছোটবেলায় বাঘ হতে চাইতেন বলে তাঁর মা-বাবা এই নামটি রেখেছিলেন। নাম বাঘ হলেও তিনি ভয় পেয়ে বিড়াল হয়ে যান। এবারের বিষয় হচ্ছে তার আশ্চর্য অভিযান।
ঘটনাটি শুরু হয়েছিল কয়েক মাস আগে। টিভিতে ডিসকভারি চ্যানেলে ‘ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড’ দেখে বাঘ মামার তখন অভিযান করার শখ হয়েছিল। যেহেতু আমি তার পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, তাই আমাকে তিনি তত্ক্ষণাৎ ডেকে পাঠালেন। আর আমি উপস্থিত হলাম।
বাঘ মামা বললেন, ‘বুঝলি রে বগা, সারা বিশ্ব এখন অভিযানের নেশায় উড়াল দিচ্ছে। তাই আমাদেরও বেরিয়ে পড়া উচিত।’
‘কিন্তু মামা...’
‘কোনো কিন্তু নয়, চল, কালকেই বেরিয়ে পড়ি।’
ইসতিয়াক জামানবাঘ মামার চাপের মুখে কিছুটা বিরক্তি নিয়েই ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। পাশেই ছিল ‘ধুপমারা জঙ্গল’। প্রথমেই বাঘ মামা আমাকে নিয়ে জঙ্গলে ঢুকলেন। ভেতরে আমরা একটা গুহাজাতীয় জিনিস দেখলাম। বাঘ মামা বললেন, ‘গুহার মধ্যে অনেক ধন-রত্ন পাওয়া যায়। চল, আমরাও কিছু না কিছু পেয়ে যেতে পারি।’
মামা টর্চলাইট নিয়ে ঢুকে পড়লেন গুহায়। হঠাৎ বাঘের ‘হুংকার’ শুনে দিলেন এক দৌড়। দৌড়াতে দৌড়াতে পথ হারিয়ে ফেললেন। সামনে ছিল এক বিরাট গর্ত। পথ না চিনে বাঘ মামা পড়লেন সেখানে।
এরপর তো ইতিহাস! আমরা সবাই মিলে উদ্ধার করলাম বাঘ মামাকে। তাকে ধরে নিয়ে গেলাম ডাক্তারের কাছে। জানলাম, তাঁর পায়ের হাড় গেছে ভেঙে। তাই আমরা আজ থেকে বাঘ মামার নাম দিলাম ‘বিড়াল মামা’। কারণ, তিনি বাঘের আওয়াজ শুনে বিড়ালেই মতোই দৌড় দিয়েছেন। হা হা হা!
একুশে সংবাদ // পপি // প্রআ // ১৯-০২-১৭
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :