জঙ্গিবাদ থেকে ফিরতে , প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা
একুশে সংবাদ : কেউ জঙ্গিবাদ থেকে ফিরতে চাইলে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটি) তাকে প্রত্যাবাসন করবে। কাউন্সেলিং করানো থেকে শুরু করে প্রত্যাবাসন পর্যন্ত যত রকম সহযোগিতা দরকার তার সবটাই করবে সিটি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার সহায়তা চাওয়ার পর তাদের ছেলেদের সহযোগিতার মাধ্যমে জঙ্গিবাদ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এখন তারা খুব ভালো আছে।
সোমবার সন্ধ্যায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ছানোয়ার হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কারো বাবা-মা নিজে উদ্যোগী হয়ে যদি তার ছেলেকে জঙ্গিবাদ থেকে ফেরাতে আমাদের কাছে সহায়তা চায় এবং ছেলেকে আমাদের হাতে তুলে দেয় বা আমাদের কাছে নিয়ে আসে, সেক্ষেত্রে ওই ছেলেকে গ্রেফতার না করে সহযোগিতা করা হবে। কাউন্সেলিং করা হবে, বুঝানো হবে, এই পথ ভালো নয়। অর্থাৎ সব কিছু করার মাধ্যমে তাকে জঙ্গিবাদের পথ থেকে ফিরিয়ে আনা হবে।
এডিসি বলেন, গত এক বছরে বেশ কয়েকটি পরিবারের এমন সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। গত মাসেও একজনকে জঙ্গিবাদের পথ পরিহার করে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তারা এখন ভালো আছে। তারা এরই মধ্যে বুঝতে পেরেছে, যে পথে তারা এতোদিন ছিল সেই পথটা ভুল পথ ছিল।
এসব খবর মিডিয়ায় আসেনি কেন জানতে চাইলে ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাছে যখন এ ধরনের পরিবার আসে, তখন তাদের শর্তই থাকে যে, মিডিয়াকে জানাবে না তারা। কারণ তারা মনে করেন, মিডিয়াকে জানালে একটি ছেলে ভালো পথে এলেও পরবর্তীতে সাধারণ মানুষ তাকে জঙ্গি হিসেবেই আচরণ করবে। তাছাড়া আমরাও চাই না বিষয়টি ফোকাস হোক। ফোকাস না করেই যদি কেউ জঙ্গিবাদ থেকে ফিরে আসতে চায়, সেটাই উত্তম। তথ্য গোপন রাখা হবে। এটা জানার পর যদি জঙ্গিবাদ থেকে কেউ ফিরতে চায়, তবুও যেন তারা ফিরে আসে। এতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এমনকি প্রত্যাবাসন পর্যন্ত সহযোগিতা করা হবে।’
তিনি আরো বলেন, একজন পিতা কিংবা মাতা তার ছেলের জঙ্গিবাদ থেকে ফেরার জন্য আমাদের কাছে সহযোগিতা চেয়ে জানালে আমরা সেটি যাচাই-বাছাই করি। দেখি সেটা কোন পর্যায়ে আছে। কোনো হামলার সঙ্গে জড়িত রয়েছে কি না। এ ছাড়া তার নামে কোথাও কোনো মামলা হয়েছে কি না। এসব কিছু দেখার পর যদি কোথাও জড়িয়ে পড়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া না যায় তবে সেই পরিবারকে সহযোগিতা করা হয়। অর্থাৎ একটি পরিবারকে যে ধরনের সহযোগিতা করা দরকার তাই করা হচ্ছে। তবুও যাতে জঙ্গিবাদ থেকে সঠিক পথে ফিরে আসে। এক্ষেত্রে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট সর্বদা সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
একুশে সংবাদ ডটকম//এমএ//১১-১০-২০১৬
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :