AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

যেভাবে ভারত থেকে আটক হয় ছয় জঙ্গি


Ekushey Sangbad

০৬:৩৯ পিএম, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৬
যেভাবে ভারত থেকে আটক হয় ছয় জঙ্গি

একুশে সংবাদ : জাল নোট পাচারকারী চক্রের দেয়া সূত্র ধরেই কলকাতায় ছয় জঙ্গির সন্ধান পায় গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে চক্রটিকে বাগে আনে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবির জঙ্গিরা যে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ রাখছে, তা জানতে পারে এনআইএ ও এসটিএফ৷ এরপর হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজের মাধ্যমেই জাল পাতা হয়৷ সেই সূত্র ধরেই কুচবিহার ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ ও বসিরহাট থেকে আটক করা হয় ছয় জঙ্গিকে। যার মধ্যে রয়েছে খাগড়াগড় কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মাওলানা ইউসুফ। খবরে বলা হয়েছে, গত জুলাই মাসে এসটিএফের হাতে আটক এক জাল নোট পাচারকারীকে জেরা করতে গিয়েই আসামের কাছাড়ের বাসিন্দা জাহিদুল শেখ ওরফে জাফর ওরফে জাবিরুলের সন্ধান মেলে৷ আসামে নতুন একটি জঙ্গি সংগঠনের জন্য তহবিল জোগাড় করতেই জাবিরুলের মাধ্যমে জাল নোটের ব্যবসা শুরু করে জেএমবি৷ জাল নোট ক্রেতা সেজে গোয়েন্দারা শিলচরের শিলংপল্লিতে হানা দেন৷ সেখান থেকেই জাল নোট-সহ গোয়েন্দা টিম ধরে ফেলেন খাগড়াগড় মামলার অভিযুক্ত জাবিরুলকে৷ আইএসের (ইসলামিক স্টেট) সাহায্য নিয়ে আসামে নতুন একটি জঙ্গি সংগঠন গড়তে জেএমবি কাজ করছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পারেন। এ ছাড়া পূজার আগেই তারা নাশকতার ছক কষছে বলেও জানতে পারে গোয়েন্দা বাহিনী। আর এর মূল দায়িত্বে রয়েছে খাগড়াগড় কাণ্ডে পলাতক সাহিদুল ওরফে সূর্য ওরফে শামিম৷ নাশকতার পেছনে আরও যে দুই হোতা রয়েছে তারা হচ্ছে বর্ধমানের আবদুল কালাম ও বাংলাদেশের জামালপুরের রুবেল৷ এরা দুইজনই বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ৷ জাবিরুলের মোবাইল ঘেঁটে জানা যায়, নিজেদের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে জঙ্গিরা যোগাযোগ রাখে৷ যদিও কোনো গ্রুপ বানায়নি এরা৷ এদের একটি বিশেষ জায়গা থেকে নির্দেশ আসে৷ হোয়াটসঅ্যাপ ক্র্যাক করেই দুই ব্যক্তির মোবাইল নম্বর ও তা থেকে আসা প্রচুর মেসেজ উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা৷ সেই সূত্রে খাগড়াগড়ের মূল অভিযুক্ত ও দুইবছর ধরে পলাতক ইউসুফও এই রাজ্যে জেএমবির নতুন প্রধান আনোয়ার হোসেন ফারুক ওরফে এনামের সন্ধান মেলে৷ ইউসুফের ডান হাত আবদুল কালামকে দুই কিলোগ্রাম বিস্ফোরক, ডিটোনেটর দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হয়৷ কুচবিহার স্টেশনের কাছে জাবিরুলের সঙ্গে দেখা করতে এসেই গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ে যায় সে৷ এবার কামালের হোয়াটসঅ্যাপ ‘ক্র্যাক’করে তার মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয় জঙ্গি নেতা ইউসুফের সঙ্গে৷ নাশকতা নিয়ে বৈঠক করতে ইউসুফ ও শহিদুল বাংলাদেশ থেকে বসিরহাটে আসে৷ এই রাজ্যের জেএমবি প্রধান এনাম নাশকতার উদ্দেশ্যেই তার সঙ্গে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ রফিক ওরফে রুবেলকে নিয়ে বনগাঁয় আসে৷ জাবিরুল ও কামালকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা৷ বসিরহাটের নতুনবাজার থেকে গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হয় ইউসুফ ও শহিদুল৷ বাগদা রোড ধরে ইউসুফদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই গ্রেফতার হয় এনাম ও রফিক৷ আটক ছয় জনের হোয়াটসঅ্যাপ থেকে আরও কিছু মেসেজ উদ্ধার করা হয়েছে৷ সেই সূত্র ধরে পলাতকদের খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷   একুশে সংবাদ ডটকম//এমএ//২৭-০৯-২০১৬
Link copied!