AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়ায় আতঙ্কে বাংলাদেশের মানুষ


Ekushey Sangbad

১১:৩৪ এএম, আগস্ট ৩০, ২০১৬
ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়ায় আতঙ্কে বাংলাদেশের মানুষ

একুশে সংবাদ : ভারতের ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়ায় আতঙ্কে বাংলাদেশের মানুষ । প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে পানি। এর ফলে বাংলাদেশের লক্ষাধিক হেক্টর ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক পরিবার। স্রোতের তীব্রতা বাড়ায় পদ্মা ও তিস্তায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে এতে বিলীন হয়েছে পাঁচ শতাদিক ঘরবাড়ি। এদিকে ঝুঁকির মুখে পড়েছে বিভিন্ন স্থানের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।শতশত পরিবার ঘর-বাড়ি হারিয়ে উঁচু সড়ক ও বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন । অন্যদিকে প্রয়োজনের তুলনায় ত্রাণ বিতরণ নেই বললেই চলে। একই সঙ্গে বিশুদ্ধ পানি ও গবাদিপশুর খাদ্যেরও সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বেনাপোল: পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ এলাকার ইছামতি-দামোদর নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে বেনাপোল ও শার্শা সীমান্তের ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি গ্রাম। এতে সহস াধিক পরিবার ঘরছাড়া হয়েছে। প্রতিদিন বাড়ছে পানি। কয়েকশ’ মৎস্য ঘেরসহ সহস াধিক বিঘা জমির সবজি ও ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ভারতের উজানের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার সাড়ে সাত হাজার হেক্টর আউশ আমন ও সবজি ক্ষেত। স্বরবাংহুদা ও রুদ্রপুর ব্রিজ তলিয়ে যাওয়ায় শার্শা-বেনাপোলের সঙ্গে বেনাপোলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গত ৩ দিন ধরে বাংলাদেশ অভিমুখে ধেয়ে আসছে ভারতে বিভিন্ন নদীর উপচে পড়া পানি। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাস্তাঘাট। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রযোজনীয় সাহায্য পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন পানিবন্দিরা। f6e93987488ceec11e6f236c14682338-ONLINE_SIRAJGANJ-SHAJADPUR--PIC-02 কুষ্টিয়া: পানি বৃদ্ধির পরিমাণ কমলেও পদ্মা ও গড়াই নদীতে পানির সে াত বেড়েছে। এর ফলে জেলার দৌলতপুর ও ভেড়ামারা উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত দু’দিনে ভাঙনের ছোবলে দৌলতপুরের মরিচা ও ভেড়ামারা চরঢাকা ও সুলেমাননগর এলাকায় স্কুলসহ দুই শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, নিঃস্ব হয়ে গেছে শত শত পরিবার। আবার কেউ কেউ ভাঙন আতঙ্কে ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। ভিটেমাটি হারা পরিবারগুলো নতুন আশ্রয় না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তবে, ক্ষতিগ্রস্তদের স্থায়ী পুনর্বাসনসহ সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় এমপি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এদিকে, দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের মুল্লুকচাঁদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন ও ভেড়ামারার চরঢাকা এলাকার একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্লাবিত হওয়ায় বন্ধ রয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়টির ২৬৫ শিক্ষার্থীর পড়াশোনা। ফারাক্কার পানিতে দৌলতপুর ও ভেড়ামারা উপজেলার প্রায় দুই হাজার হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। রাজশাহী: পদ্মায় পানি কমছে। আগের দিনের চেয়ে তিন সেন্টিমিটার পানি কমে গতকাল ১৮ দশমিক ৪৩ মিটারে বইছিল পদ্মা। বেলা ৩টার দিকে নগরীর বড়কুঠি পয়েন্টে পানির এ প্রবাহ রেকর্ড করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে হঠাৎ ফুলে-ফেঁপে ওঠা পদ্মার প্রবল সে াতে ফাটল ধরেছে রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধের টি-গ্রোয়েনে। গত রোববার সকালে নগরীর শ্রীরামপুর এলাকার ওই ট্রি-গ্রোয়েনে ভাঙন দেখা দেয়। তখন থেকেই বাঁধ রক্ষায় জিওব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে টি-গ্রোয়েন এখন পুরোপুরি সুরক্ষিত বলে জানিয়েছেন ওই পয়েন্টে দায়িত্বরত রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহবুব রাসেল। তিনি বলেন, ‘গত রোববার থেকে তারা সেখানে জিওব্যাগ ফেলছেন। সোমবার (গতকাল) পর্যন্ত সেখানে ৫০০ জিওব্যাগ ফেলা হয়। আগে এটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও এখন পুরোপুরি সুরক্ষিত।’ তবে এখনো ঝুঁকিতে রয়েছে রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধের পুলিশ লাইন পয়েন্ট। আগের কয়েক দফা বন্যায় বাঁধের ওই অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ বছর সেটির মেরামত চলছিল। তবে পানি বেড়ে গিয়ে ব্লক দেবে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় কাজ। সেখানে বালির বস্তা ফেলে বাঁধ টেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। অন্যদিকে দুর্গতদের মাঝে সাধ্যমতো ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। গতকাল বন্যাকবলিত পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নে দুর্গতের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসন কাজী আশরাফ উদ্দিন। সেখানকার ৪০০ পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। এ ছাড়া গবাদিপশু পালনে যুক্ত আরো ৫২ পরিবারকে এক হাজার টাকা করে অনুদান দেয় জেলা প্রশাসন। b232 রংপুর: জেলার কাউনিয়া উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয়রা জানান, গত ১২ দিনের ব্যবধানে তিস্তা তীরবর্তী দুই শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি-ভিটেমাটি ও ২৫০ হেক্টর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে নিজপাড়া, তালুকশাহবাজ, হরিচরণ শর্মা, চরগনাই, চর আজম খাঁ, বিশ্বনাথ চর, হয়বত খাঁ চর, টাপুর চর, ঢুসমারা চরের আরো দুই শতাধিক পরিবার, মসজিদ, মন্দিরসহ ফসলি জমি। হয়বত খাঁ চরের নদী ভাঙাকবলিত বিশ্বনাথ গ্রামের ছাবিহা বেওয়াসহ অনেকে জানান, এ নিয়ে তারা ৪-৫ বার করে বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছে। নদী তাদের পিছু ছাড়ছে না। বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী ও টেপামধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, এ বছর নদীর ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ফরহাদ হোসেন জানান, সরকারিভাবে নদীভাঙা পরিবারগুলোকে ২ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। যশোর: জেলার কেশবপুরের আলতাপোলে অবস্থিত বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র এবং ৩৩ কেভিসহ উপজেলার প্রায় দেড়শ’ কিলোমিটার এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের খুঁটি জলমগ্ন হয়ে গেছে। এর ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে।     একুশে সংবাদ ডটকম//এমএ//৩০-০৮-২০১৬
Link copied!