মেজর জিয়া প্রকাশক দীপন হত্যারও মাস্টারমাইন্ড
একুশে সংবাদ : রাজধানীর গুলশানের আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনার নেপথ্যে বা মাস্টারমাইন্ড হিসেবে নাম এসেছিল সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর জিয়ার। এবার প্রকাশক ফয়সাল আরেফীন দীপন হত্যার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড হিসেবেও তার নাম উল্লেখ করলো পুলিশ।আজ বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
এর আগে ‘প্রকাশক ফয়সাল আরেফীন দীপন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মইনুল ইসলাম শামীম ওরফে সিফাত ওরফে ইমরানকে মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গীতে চেরাগ আলী মার্কেটে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা। এ নিয়ে বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম বলেন, আটক শামীম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে মেজর জিয়াই তাদের বড় ভাই। সে-ই তাদের সব প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।’ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শামীম মেজর জিয়াকে ঘটনার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে বলেছে।
তিনি বলেন, ‘শামীম দীপন হত্যায় সিলিপার সেলের দায়িত্বে ছিল। শিহাব ওরফে সুমন নামে আটক একজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শামীমকে গ্রেফতার করা হয়।’
মনিরুল ইসলাম বলেন, “জেএমবির সিলিপার সেলের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের তাদের ভাষায় ‘মাসুল’ বলা হয়। দীপন হত্যায় ৫ জন অংশ নেয়। শামীম তাদের মধ্যে একজন।”
তিনি বলেন, ‘দীপন হত্যার আগে শামীমের নেতৃত্বে সিলিপার সেলটি টঙ্গীর একটি বাসায় প্রশিক্ষণ নেয়। পরে মহাখালীতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে দীপনকে হত্যা করে। এই প্রস্তুতি তাদের ভাষায় ‘মারকাজ’ নামে পরিচিত।’ শামীমের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ। সে মদনমোহন কলেজের ছাত্র ছিল।
ব্লগার, প্রগতিশীল লেখক, প্রকাশক হত্যায় জড়িত যে ছয়জনকে চিহ্নিত করে পুলিশ ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছিল তাদের একজন এই সিফাত। তাকে ধরিয়ে দিতে দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, ৩১ নভেম্বর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বিত্তরা। এ ঘটনায় ফেনীর ফুলগাজী থেকে মুফতি জাহিদ হাসান মারুফ নামে আরেকজনকে আটক করা হয়েছিল।
একুশে সংবাদ ডটকম//এমএ//২৪-০৮-২০১৬
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :