AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আজ ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আইভি রহমানের ।


Ekushey Sangbad

১১:০৫ এএম, আগস্ট ২৪, ২০১৬
আজ ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আইভি রহমানের ।

একুশে সংবাদ: আজ আইভি রহমানের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ২৪ আগস্ট মারা যান। এ দিবসটি পালনে কেন্দ্রীয় ও ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকাল সাড়ে ৮টায় বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর নেতারা মরহুমার কবর জিয়ারত, শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও দোয়া-মাহফিলের আয়োজন করেছে। download (4) বাদ আসর ঢাকায় তার স্বামী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের গুলশানের আইভি কনকর্ড টাওয়ারের বাসায় মিলাদ ও দোয়া-মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া তার বাবার বাড়ি চন্ডিবেরে মিলাদ ও কাঙালি ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। আইভি রহমানের পুরো নাম বেগম জেবুন্নেছা আইভি। ১৯৫৮ সালের ২৭ জুন নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে ভৈরবের কৃতী সন্তান ও আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লুর রহমানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে রহমান যুক্ত করে আইভি রহমান নামে পরিচিত হন। ১৯৪৪ সালের ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব শহরের চন্ডিবের গ্রামের সম্ভ্রান্ত কামাল সরকারের বাড়িতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জালাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ। মা হাসিনা বেগম ছিলেন গৃহিণী । ৮ বোন ৪ ভাইয়ের মধ্যে আইভি রহমান পঞ্চম ছিলেন। রাজনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াও আইভি রহমান বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার বড় বোন সামসুন্নাহার সিদ্দিক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার শাশুড়ি। সেই সূত্রে আইভি রহমান শেখ রেহানার খালা শাশুড়ি। আইভি রহমানের এক ছেলে নাজমুল হাসান পাপন এবং দুই মেয়ে তানিয়া ও ময়না। রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় জিল্লুর রহমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই স্ত্রী আইভির শোক নিয়ে ২০১৩ সালের ২০ মার্চ ইন্তেকাল করেন। আইভি রহমান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য হন। ১৯৮০ সালে তিনি কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত হন। এরপর তিনি দীর্ঘদিন এ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অন্ধ কল্যাণ সমিতির সভাপতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালনসহ রাজপথে থাকতেন সবার আগে। সভা-সমাবেশে তিনি কখনোই মঞ্চে বসতেন না। সভাস্থলের পাশে নিচে কর্মীদের সঙ্গে বসতেন তিনি। রাজপথ কাঁপানো নেত্রী ছিলেন তিনি। ভৈরবের সাধারণ মানুষের সঙ্গে ছিল তার গভীর সম্পর্ক। দুঃখী মানুষের পাশে তিনি সবসময় থাকতেন। ২১ আগস্ট আইভি রহমান মারাত্মক আহত হলে এ খবরটি তৎক্ষণাত জিল্লুর রহমানকে জানানো হয়নি। তাকে জানানো হয় আইভি রহমান সামান্য আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন। ঘটনার একদিন পর জিল্লুর রহমান জানতে পারেন আইভি রহমানের গুরুতর আহত হওয়ার খবর। ২৩ আগস্ট তিনি হাসপাতালে জীবন সঙ্গী আইভিকে দেখতে যান। ৪৬ বছরের জীবন সঙ্গীর সাথে এটাই ছিল তার শেষ দেখা। ২০০৪ সালের ২৪ আগস্ট আইভি রহমান হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মর্মান্তিক মৃত্যুর পর ভৈরবে জনতা হরতাল পালন করে। সেই সময়ে বিএনপি সরকার দেশের মানুষের উত্তেজনার কথা ভেবে তার লাশ ভৈরবে নিতে দেয়নি। পরে তাকে ঢাকার বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।     একুশে সংবাদ ডটকম   //   এম   //  ২৪.০৮.১৬
Link copied!