AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শফিকুল গানি স্বপনের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই পারবে দেশকে জঙ্গিবাদ থেকে রক্ষা করতে - মির্জা ফখরুল ।


Ekushey Sangbad

০৫:১৬ পিএম, আগস্ট ২১, ২০১৬
শফিকুল গানি স্বপনের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই পারবে দেশকে জঙ্গিবাদ থেকে রক্ষা করতে - মির্জা ফখরুল ।

একুশে সংবাদ: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ২১ আগস্ট একটি কলঙ্কজনক ঘটনা। এটি একটি বর্বর হত্যাকাণ্ড। ওই দিনের গ্রেনেড হামলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২২ নেতাকর্মী নিহত হন। ২১ আগস্টের ওই হামলায় নিহতের প্রতি শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশও করেন তিনি। তিনি দেশনেত্রীর জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে দেশের সকল দেশপ্রেমিক ও গণতান্ত্রিক শক্তির সাড়া দেবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জঙ্গিবাদ দমনের নামে সরকার বিরোধী দলকে ধ্বংস করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আহ্বানকে প্রত্যাক্ষান করে সরকার প্রমান করেছে তারা জঙ্গিবাদ নির্মুলে আন্তরিক নয়। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই পারবে দেশকে জঙ্গিবাদ থেকে রক্ষা করতে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ রবিবার দুপুরে ডিআইউ‘র সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাপ‘র সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রাক্তনমন্ত্রী জননেতা শফিকুল গানি স্বপনের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন। ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি‘র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, জাতীয় দল চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাপ প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিষ্টার মশিউর রহমান গানি, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ নুরুল আমান চৌধুরী, সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আনছার রহমান শিকদার, বাসন্তি বরুয়া বাবলী, জিল্লুর রহমান পলাশ, আবদুল্লাহ আল-কাউছারী, ছাত্র নেতা সোলায়মান সোহেল প্রমুখ। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসাবে শফিকুল গানি স্বপন সকল সময়েই গণতন্ত্রের পক্ষে রাজনীতি করেছেন। তার মৃত্যু আমাদের জাতীয়তাদী রাজনীতিতে যে শূণ্যতা সৃষ্টি করেছে তা পূরণে বহু সময়ের প্রয়োজন। রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে এই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হতো না। কারণ যেখানে সুন্দরবণ ধ্বংস হয়ে যাবে সেই বিদ্যুৎ দিয়ে আমরা কি করবো। বর্তমান আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় স্বৈরচারী ভূমিকায়। জঙ্গিবাদ নয় এদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধী দলকে দমন করা। জাতীয় ঐক্যের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা কোনো নির্বাচনের জন্য ঐক্য গড়ে তোলা নয়, এটা দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশ ও জাতিকে রক্ষায় আন্দোলনের ডাক। আর এর জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। হঠাৎ আগাম নির্বাচনের আওয়াজকে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনের বিপক্ষে নয়। বিএনপি অতিদ্রুত সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। যার মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র অতীতেও হয়েছে এখনো অব্যাহত আছে। আর হচ্ছে আওয়ামী লীগ সেই দল যারা নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে একের পর এক ইস্যু সৃষ্টি করে জনগণের দৃষ্টি বিভ্রান্ত করে। মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনে এক দুর্যোগ চলছে। এই দুর্যোগ থেকে দেশ জাতিকে মুক্তি দিতে হলে চলমান সংগ্রামকে চূড়ান্ত বিজয়ের লক্ষ্যে নিয়ে যেতে হবে। এই অবস্থায় দেশ জাতি চলতে পারে না। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে বিজয়ী হতে না পারলে আমরা অস্তিত্ব সংকটে পড়বো। তিনি বলেন, শফিকুল গানি স্বপন আজীবন গণতন্ত্রের পক্ষেই লড়াই করে গেছেন। শফিউল আলম প্রধান বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ‘জাতীয় ঐক্যের’ আহ্বান জানিয়েছেন ক্ষমতার জন্য নয়, জাতির প্রয়োজনে দেশের প্রয়োজনে। যা অতিতে মওলানা ভাসানী ও হোসেন শহীদ সোরাওয়ার্দীর মত নেতারা করেছিলেন। যারা দেশনেত্রীর ঐক্যের আহ্বানে আসবা কিংবা বিরোধীতা করে তাদের দেশপ্রেম প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি ভারতের অব্যাহ আগ্রাসন প্রসঙ্গে বলেন, আমরা বন্ধুত্ব চাই সমমর্যাদার ভিত্তিতে। বন্ধুত্বের নামে কোন দাসত্ব আমরা মেনে নিতে পারি না। শফিকুল গানি স্বপনও জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত লড়াই করেছেন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম শফিকুল গানি স্বপনের অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে সুন্দরবন ধ্বংসের চক্রান্ত দেশবাসী মানে না, মানতে পারে না। আমরা শুধু প্রতিবেশীর স্বার্থ দেখবো তারা আমাদের স্বার্থ রক্ষা করবে না তা হতে পারে না। তিনি বলেন, গণতন্ত্রহীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের এক দশমাংস পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিছিন্ন করতে ষড়যন্ত্র অব্যাহ রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করতে হবে। এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, রাজনীতিক জীবনে শফিকুল গানি স্বপন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কঠোর সমালোচনরা করলেও কারো সর্ম্পকে কুটুক্তি বা অশ্লিষ শব্ধ ব্যাবহার করতেন না। যা আজকের রাজনীতিতেই ক্রমেই কমে হ্রাস পাচ্ছে। তিনি দেশ ও জাতির স্বার্থে জাতীয় ঐক্যের রাজনীতি করেছেন। তিনি বলেছেন, শফিকুল গানি স্বপন কখনো তার রাজনীতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। তিনি যে রাজনীতি বিশ্বাস করতে তাই প্রয়োগ করার চেষ্টা করতেন। আমরা যখন শুধুমাত্র ক্ষমতায় জন্য রাজনৈতিক বিশ্বাসকে পদদলীত করতে কুন্ঠিত হই না, তখন শফিকুল গানি স্বপন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় রাজনীতির সঙ্গা কি? সভাপতির বক্তব্যে জেবেল রহমান গানি বলেছেন, রাজনীতি ক্রমান্বয়ে রাজনীতিবিদদের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলছে যাচ্ছে। কালো টাকার মালিকরা রাজনীতি নিয়ন্ত্রনের অপচেষ্টায় লিপ্ত। আর সেই কারণেই দেশে আইনের শাসন ও জবাবদিহিতা অনুপস্থিত। ফলে রাষ্ট্রে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। বরেণ্য রাজনীতিক জননেতা শফিকুল গানি স্বপন রাজনীতিকে দুবৃত্তায়ন মুক্ত করতে আজীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। আর সেই কারনেই তাকে বার বার লাঞ্চিত হতে হয়েছে সুবিধাবাদী ও বর্ণচোরা রাজনীতিকদের দারা। তিনি বলেন, দেশনেত্রীর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ন্যাপ সকল সময়ই তার পাশে থাকবে।         একুশে সংবাদ ডটকম//এম//২১.০৮.১৬    
Link copied!