AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ডিমলায় বানভাসীদের দুর্ভোগ না কাটতেই তিস্তা নদী থেকে পাথর ও বালু উত্তোলন শুরু ।।


Ekushey Sangbad

১২:৩০ পিএম, আগস্ট ২০, ২০১৬
ডিমলায় বানভাসীদের দুর্ভোগ না কাটতেই তিস্তা নদী থেকে পাথর ও বালু উত্তোলন শুরু ।।

একুশে সংবাদ:-নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলন ও পরিবহনের অভিযোগে আটক ট্রাক্টর নিয়ে প্রশাসনের রমরমা বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিস্তার গ্রোয়িং বাধে অবৈধভাবে পাথর পরিবহন করার সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মিল্টন চন্দ্র রায়, ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন, টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা ইলতুসমিন কবীরসহ পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইটি ট্রাক্টর আটক করে। পাথর ভর্তি আটককৃত ট্রাক্টের মালিক হচ্ছেন টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন খড়িবাড়ী গ্রামের আব্দুল জব্বারের পুত্র জামিনুর রহমান ও একই গ্রামের আব্দুল তালেবের পুত্র মিষ্টার। অভিযোগ উঠেছে ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ও ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা ইলতুসমিন কবীর উক্ত ট্রাক্টের মালিকের নিকট লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে মামলায় ট্রাক্টরের মালিকের নাম বাদ দেয় । ঘটনার ২দিন পর বৃহস্পতিবার রাতে টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা ইলতুসমিন কবীর বাদী হয়ে ডিমলা থানায় মামলা-১১ দায়ের করলেও ট্রাক্টরের মালিকের নাম না দিয়ে শুধুমাত্র পরিত্যাক্ত অবস্থায় পাথর ভর্তি ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। আটককৃত ট্রাক্টরের মালিক জামিনুর, মিষ্টার ও তিস্তা নদী হতে অবৈধ পাথর উত্তোলনের মূল হোতা টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক আটক ট্রাক্টর দুটি ছাড়িয়ে নেয়ার একাধিক বার চেষ্টা করেন। ডিমলা থানার ওসি ও মামলার বাদী মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন মাসোয়ারা নিয়ে তিস্তায় অবৈধ পাথর উত্তোলনের সুযোগ করে দেয়ার কারনে তিস্তার বাধসহ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। আটককৃত অবৈধ পাথরসহ ট্রাক্টরের মালিক জামিনুর ও মিষ্টারের নাম সকলে তহশিলদারকে বললেও মামলার বাদী তাদের নাম জানে না মর্মে পাথর ভর্তি ট্রলিকে আসামী করে ডিমলা থানায় মামলা নং-১১ দায়ের করেন। জানা যায়, তিস্তা নদীতে অবৈধভাবে নৌকায় মেশিন বসিয়ে পাথর উত্তোলন করার ফলে তিস্তার বামতীর বাধসহ ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।নতুন করে হুমকির মুখে পড়েছে একাধিক বাধসহ অনেক এলাকা। টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন খড়িবাড়ী মৌজার তেলির বাজার সংলগ্ন গ্রোয়িং বাধে প্রতিদিন শতশত ট্রাক্টর অবৈধ পাথর পরিবহন করার ফলে বাধের অধিকাংশ অংশ ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।দীর্ঘদিনযাবত এভাবে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন হলেও ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-রেজাউল করিম প্রতিনিয়ত তা দেখেও /জেনেও না জানার ভান করেন।এমন কি তিনি তিস্তার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্হ্য এলাকা একাধিক বার পরিদর্শন করার সময়ে নদীতে শত শত নৌকা দিয়ে অবৈধ ভাবে অবাধে পাথর উত্তোলন চললেও সে বিষয়ে কখনো কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেনি।এমন কি সে সময়ে ওইসব এলাকার একাধিক ব্যক্তি তাকে সে বিষয়ে অভিযোগ করে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও তিনি চলে যান অন্য কথার প্রসঙ্গে।তিস্তা নদীতে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলনকারীদের প্রায় রাতের আধারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিমের বাসভবনে ও অফিস কক্ষেই দেখা যায় ঘন্টার পর খোশ বৈঠক করতে।এ নিয়ে এলাকাজুড়ে শোনা যায় সাধারন মানুষের মুখে মুখে নানান জল্পনা-কল্পনা। ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টিতে ভ্র্যাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কশিমনার (ভুমি) মিল্টন চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন। মামলার বাদী যেভাবে অভিযোগ দিয়েছে পুলিশ তা রেকর্ড করেছে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কশিমনার (ভুমি) মিল্টন চন্দ্র রায় মোবাইল ফোনে বলেন, তহশিলদারকে ট্রাক্টরের মালিকের নামসহ মামলা দিতে বলা হয়েছে। আমি ঢাকা যাচ্ছি রাস্তায় বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা ইলতুসমিন কবির বলেন, টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন খড়িবাড়ী মৌজার তেলির বাজার নামক স্থানে প্রতিদিন শত শত ট্রাক্টর বালু ও পাথর পরিবহন করায় মালিকের নাম যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তিনি তিস্তা নদী হতে প্রতিদিন শত শত নৌকায় মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে পাথর বালু উত্তোলন ও বহনের কথা স্বীকার করেন। তবে এ সব এলাকাবাসীর অভিযোগ স্হানীয় কর্মকর্তা কিম্বা ব্যক্তিদের এসব ঠেকানোর বিরুদ্ধে চাপ ও দায়িত্ব দিয়ে কোনো লাভ হবেনা।বরংচ প্রকৃত দোষী ব্যক্তিরা তাদের সহযোগীতায় পার পেয়ে যাবেন। তাই তারা অচিরেই সংশ্লিষ্ট্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি সহ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।।       একুশে সংবাদ ডটকম   //   এম   //   ২০.০৮.১৬
Link copied!