খরচ না বাড়াতে চাইলে ধূমপান ছাড়ুন : অর্থমন্ত্রী
একুশে সংবাদ: বিভিন্ন তামাক জাতীয় দ্রব্য গায়ে লেখা থাকে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সিগারেটের মোড়কেই লেখা থাকে। আর বাজেটে পেশের পর থেকে বিড়ি আর সিগারেটে উপর খরচের বোঝাটা খানিকটা বেশি। এতে করে এখন থেকে বিড়ি-সিগারেট কেনার খরচ বাড়বে। প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ি ও সিগারেটের কর ভার বিভিন্ন হারে বাড়ানো হয়েছে।
ধূমপানের বাইরে যাদের পান খাওয়া এবং গুল গ্রহণের অভ্যাস আছে, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দুঃসংবাদ শুনিয়েছেন তাদেরও। এবারের বাজেটে জর্দা ও গুলের কর ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে। যেসব কোম্পানি বিড়ি ও জর্দা উৎপাদন করে, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক (করপোরেট) কর ২৫-৩৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হয়েছে।
আগামী বাজেট বক্তৃতায় গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী বলেন, সিগারেটের সর্বনিম্ন মূল্য প্রস্তাবিত বাজেটে ১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩ টাকা করা হয়েছে। সিগারেটের দামের ৩টি স্তরেই সম্পূরক শুল্ক ২ শতাংশ করে বাড়ানো হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ফিল্টারবিহীন বিড়ির ২৫ শলাকার বাজারমূল্য ৭ টাকা ৬ পয়সা। আর ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকার প্রতি প্যাকেটের মূল্য ৭ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ করে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এতে ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির দাম হবে সাড়ে ১০ টাকা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকার প্যাকেটের দাম হবে ১২ টাকার কিছু বেশি। এ ছাড়া অযান্ত্রিক পদ্ধতিতে হাতে তৈরি বিড়ি এবং অন্যান্য প্রস্তুতকৃত তামাক আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। তামাক পণ্য তৈরির যন্ত্রপাতি আমদানিতে মূলধনি যন্ত্রপাতি হিসেবে প্রাপ্য ১ শতাংশ শুল্ক সুবিধাও তুলে নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এখন থেকে এসব যন্ত্রপাতি আমদানিতে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক দিতে হবে।
একুশে সংবাদ ডটকম/ক/৩/০৬/১৬
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :