ইরানের হুমকি হরমুজ প্রণালী বন্ধের
একুশে সংবাদ : যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা যদি ইরানকে হুমকি দেয়া বন্ধ না করে, তাহলে অবিলম্বে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়া হবে জানিয়েছে দেশটির শক্তিশালী রেভ্যুলেশনারি গার্ডের ডেপুটি কমান্ডার জেনারেল হুসেইন সালামি।
সম্প্রতি ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ব একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাতকার দেয়ার সময় তিনি এমন মন্তব্য করলেন। ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশকের শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্কের প্রেক্ষিত্রেই এমন মন্তব্য করা হয়েছে বলেও জানায় চ্যানেলটি।
ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ড ফোর্স সামরিক বাহিনীর মধ্যকার অন্যতম শক্তিশালী একটি শাখা। কিন্তু এই শাখাটি সামরিক বাহিনী প্রধানের কাছে জবাবদিহি করার বদলে সরাসরি সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে জবাবদিহি করে।
যেহেতু গত সোমবার এই ধর্মীয় নেতা উপসাগরীয় রাজনীতি প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বক্তব্য প্রদান করেছেন, তারই প্রেক্ষিতে রেভ্যুলেশনারি গার্ডের পক্ষ থেকেও যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা হুমকি দেয়া হলো।
জেনারেল সালামি আরও জানান, ‘আমেরিকানদের ঐতিহাসিক সত্যিটা জানা উচিত। যদি আমেরিকা এবং তাদের আঞ্চলিক মিত্ররা আমাদের হুমকি দেন এবং হরমুজ প্রণালী অতিক্রম করতে চান, তবে তাদের জেনে রাখা উচিত আমরা তা হতে দেবো না। আমেরিকানরা পৃথিবীর কোথাও নিরাপদ থাকতে পারবে না।’
উল্লেখ্য যে, এই বিতর্কিত হরমুজ প্রণালী হয়েই ইউরোপের শতকরা ৮০ ভাগ পণ্যবাহী জাহাজ যাতায়াত করে। ইরান যদি এই প্রণালী বন্ধ করে দেয় তবে গোটা ইউরোপের জন্য তা শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
বাহরাইনে অবস্থানরত মার্কিন নৌবহরের পঞ্চম ফ্লীটের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট রিক শেরিন্জার অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে বলেন, ‘আমেরিকার নাবিকরা আন্তর্জাতিক আইন মান্য করেই উপসাগরীয় অঞ্জলে জাহাজ পরিচালনা করে। আমরা যাই করি না কেন, আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাগ্রে দেখতে হয়।’
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সমুদ্রসীমা অতিক্রম করার কারণে কয়েকজন মার্কিন মেরিন সেনাকে আটক করেছিল ইরান। কিন্তু আটকের একদিনের মাথায় ওই মেরিন সেনাদের মুক্তি দেয় ইরান।
উপসাগরীয় অঞ্চলে বিভিন্ন ইস্যুতে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্বের ইতিহাস অনেক পুরনো। ১৯৮৮ সালের ১৮ এপ্রিল তারিখে মাত্র একদিনের জন্য ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ হয়েছিল এই উপসাগর ইস্যুতে। সেদিন ইরানের মাইনের আঘাতে মার্কিন রণতরী স্যামুয়েল বি. রবার্টস ডুবে যায়। ওই একই দিনে মার্কিন বিমান বাহিনী ইরানের দুটো তেলের রিগ এবং ছয়টি নৌযান ধ্বংস করেছিল।
একুশে সংবাদ ডট কম/ক/০৪/০৫/১৬
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :