সোনালী ধানে মন খারাপ পলাশবাড়ীর কৃষকের
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা,প্রতিনিধি : আবহাওয়া অনুকূল, সময়মত ডিজেল, সার এবং কীটনাশক পাওয়ায় কৃষকের গোলায় এবার ধান উঠেছে আশানুরূপ। দিগন্তমাঠজুড়ে সোনালী ধানের সেই হাসি প্রশান্তিময় করে তুলেছিল কৃষকের মনও। কিন্তু সেই ধান বিক্রি করে যখন লগ্নিকৃত টাকাই উঠছে না, তখন কৃষকের মুখ ফিকে হয়ে যাচ্ছে।
এ অবস্থায় কৃষকরা বলছেন, দাম এভাবে থাকলে ধানের আবাদ বাদ দিয়ে ভাবতে হবে অন্যকিছু। যেখানে লগ্নি করলেও লোকসান হবার সম্ভাবনা থাকবে না।
আর সরকারিভাবে ধান কেনার যে ঘোষণা দিয়েছিল সরকার সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কোন উদ্যাগ চোখে দেখছে না কৃষকরা। বৃহস্পতিবার থেকে ২৩ টাকা কেজি দরে ধান কেনার কথা রয়েছে সরকারের। কিন্তু কৃষকদের ধারণা, কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার সিদ্ধান্ত থাকলেও তা বাস্তবায়ন হবার সম্ভাবনা নেই। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত খাদ্য অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তাই কৃষকের কাছে যায়নি।
পলাশবাড়ীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং কৃষকের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত বাজারে প্রকার ভেদে ধান ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
শ্যামপুর এলাকার সুমন মিয়া বলেন, কয়েক বছর থেকে আলু আবাদ করে লোকসান গুনছি। কিন্তু এবার সেই আলু না করে ধান আবাদ করলাম সেখানে লোকসান। আমি বুঝে উঠতে পারছি না এখন কি করার আছে আমার। তিনি বলেন, সরকারের উচিৎ কৃষকদের বাঁচানো। তাহলেই দেশে খাদ্যঘাটতি থাকবে না। তা না হলে এক সময় আসবে যখন কৃষকদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ধান আবাদ করার জন্য উৎসাহ জোগাতে হবে সরকারি কর্মকর্তাদের।
অফিসার আজিজুর রহমান বলেন, এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। তিনি আশা করেন সরকার ধান কেনা শুরু করলে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাবেন।
একুশে সংবাদ /এস/০৪-০৫-১৬
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :