ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা,প্রতিনিধি : দেড় বছর ধরে মোবাইলে প্রেম করার পর বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিল সানজিদা আক্তার সুপ্তি (১৯)। বাড়ি ছাড়ার মাত্র ৩ মাসের মাথায় লাশ হতে হয়েছে তাকে। মঙ্গলবার সকালে রংপুর শহরের আলমনগর খামার এলাকা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। তবে এটি হত্যা, নাকি আত্মহত্যা― তা নিশ্চিত করা যায়নি। এ ঘটনায় তার প্রেমিক বিপ্লব চন্দ্র বর্মনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ। নিহত সুপ্তির বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বলশিয়াতারা গ্রামে। তার বাবার নাম সোহরাব মিয়া। অপরদিকে বিপ্লব বর্মন আলমনগর খামার এলাকার মৃত অশোক চন্দ্র বর্মনের ছেলে। সে একটি মোটর গ্যারেজের কর্মচারী। তারা দুজন খামার এলাকার জনৈক জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি ভাড়া নিয়ে একত্রে বসবাস করত। স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করলেও তারা বিয়ে-শাদি করেনি বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে বিপ্লব। এ ছাড়া তাদের কেউই ধর্মান্তরিত হয়নি। কোতোয়ালি থানা-পুলিশের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা এসআই মজনু জানান, দেড় বছর আগে মোবাইলে পরিচয় ঘটে দুজনের। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে গত তিন মাস আগে প্রেমের টানে বাড়ি-ঘর ছেড়ে টাঙ্গাইল থেকে রংপুরে চলে আসে সুপ্তি। ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ধারণা করা হচ্ছে সোমবার (২ মে) রাতে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এরই জের ধরে সুপ্তি ঘরের ভেতর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। তবে এটি হত্যা, না আত্মহত্যা―তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হতে পারবেন বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম জাহিদুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। আটক বিপ্লবকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। একুশে সংবাদ /এস/০৪-০৫-১৬