ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
একুশে সংবাদ: ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাজধানীর বেসরকারি আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কলাবাগান থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ঠাকুর দাশ প্রথম আলোকে বলেন, যৌন হয়রানির অভিযোগে গতকাল রাতে ফেরদৌসের বিরুদ্ধে মামলা হয়। রাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে কলাবাগান থানার হাজতে রাখা হয়েছে।
ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল বিভাগের ওই শিক্ষককে গত শনিবার সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই পদক্ষেপ নেয়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য এ এম এম সফিউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তের ভিত্তিতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগের ছাত্রীরা বিভিন্ন সময় যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। সম্প্রতি আরেক ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানান। ওই শিক্ষক সংশ্লিষ্ট ছাত্রীকে চাপ দিয়ে মিথ্যা বিবৃতি আদায় করেন। এ জন্য তাঁরা ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
নানা কৌশল অবলম্বন করে মাহফুজুর রশিদ শিক্ষার্থীদের বাধ্য করতেন পান্থপথের ফ্ল্যাটে নিয়ে যেতে। সেখানে নিয়ে যৌন নিপিড়ন এবং শারীরিক নির্যাতন করতেন। এ কৌশলে অসংখ্য ছাত্রীর সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছেন লম্পট ওই শিক্ষক। কথা না শুনলে ভার্সিটিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর চরিত্র নিয়ে কুৎসা রটানোর হুমকিও দিতেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের মোবাইলে নিজের ন্যুড পিক পাঠানো ছিল ওই শিক্ষকের কাছে অতি সহজ একটা ব্যাপার। আজেবাজে টেক্সটিং, যা হরহামেশাই পাঠানো হত।
অবশেষে সব ভয়, লজ্জা ভেঙে সতীর্থদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদ গড়ে তোলেন ভুক্তভোগীরা। সবাই একসঙ্গে আন্দোলন শুরু করেন। তীব্র আন্দোলনের তোপে মুখ খুলতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসের চৌহদ্দিতে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয় মাহফুজকে। অভিযোগ পাঠানো হয় হাইকোর্ট কর্তৃক যৌন নির্যাতন ও যৌন হয়রানি বন্ধে গঠিত কমিটিতেও।
একুশে সংবাদ /এস/০৪-০৫-১৬
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :