ধারণার চেয়েও বেশি বিপজ্জনক’ জিকা ভাইরাস
একুশে সংবাদ: যতটা ধারণা করা হয়েছিল তারচেয়ে বেশি বিপজ্জনক মশাবাহিত জিকা ভাইরাস। এমনটাই দাবি করেছেন ব্রাজিলের বিজ্ঞানীরা।
বিবিসি বলছে, ব্রাজিলের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাস স্নায়ুতন্ত্রের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। জিকায় আক্রান্ত গর্ভবতী নারীদের মধ্যে প্রতি পাঁচজনে একজন ক্ষতিগ্রস্ত হন।
ভাইরাসটির বিষয়ে প্রচারণার কারণে ব্রাজিলে বেশকিছু অঞ্চলে জিকা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া কমেছে।
সম্প্রতি ইলাইফ জার্নালে জিকা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া নিয়ে বিস্তারিত মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, বিশ্বে ২শ’ কোটি মানুষ বসবাস করছে এমন এলাকায় জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন, জিকার বর্তমান প্রাদুভার্ব যে প্রকৃতি তাতে দক্ষিণ আমেরিকার বিশাল অংশ ঝুঁকিপূর্ণ।
আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিশাল অংশ এই ভাইরাস ছড়ানোর জোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।
এখনো পর্যন্ত ইউরোপে জিকা সংক্রমণ ধরতে গেলে শূন্যের কোটায় মনে হলেও সেখানেও এটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খারিজ করে দিচ্ছেন না গবেষকরা।
এই ভাইরাসের টিকা তৈরির বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়েই রয়েছে।
শিশুদের অপুষ্ট মাথা নিয়ে জন্ম নেয়া অর্থাৎ মাইক্রোসেফালির সঙ্গে এই ভাইরাস দায়ী বলে বেশিরভাগ চিকিৎসক এবং গবেষক মনে করেন।
ইতিপূর্বে মনে করা হতো জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত গর্ভবতী নারীদের মধ্যে মাত্র এক শতাংশ নারী অপুষ্ট মাথার শিশু জন্ম দিতে পারেন। কিন্তু এই ধারণা পাল্টে গেছে।
ব্রাজিলের চিকিৎসকেরা এখন বলছেন, ২০ শতাংশ গর্ভবতী নারী মাইক্রোসেফালিতে আক্রান্ত শিশুর জন্ম দিতে পারে।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বিরল। আর সাধারণত জিকা আক্রান্ত প্রতি পাঁচজনে একজনের মধ্যে এর লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়।
হালকা জ্বর, চোখ লাল হওয়া, মাথাব্যথা, হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা এবং চামড়ায় লাল লাল ফুসকুড়ি হচ্ছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মানুষ সাময়িকভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যেতে পারেন।
এখনো পর্যন্ত জিকা ভাইরাসের কোনো টিকা বা ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। চিকিৎসকেরা আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে উদ্বেগের কারণ গর্ভের শিশুদের উপর ভাইরাসটির প্রভাব।
একুশে সংবাদ ডট কম- ক/২/০৫/১৬
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :