AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বাজারে দাম বেড়েছে গরুর মাংস ও ডালের


Ekushey Sangbad

০৪:৫৪ পিএম, এপ্রিল ২৯, ২০১৬
বাজারে দাম বেড়েছে গরুর মাংস ও ডালের

একুশে সংবাদ : সাধারণত রোজার আগে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা যায়। কিন্তু এবার রোজার আগেই দাম বেড়েছে গরুর মাংস ও ডালের । বাজার এভাবে নিয়ন্ত্রণহীন থাকলে রমজানে গরু মাংসের দাম প্রতিকেজি ৫০০ টাকা হবে বলে আশঙ্কা করছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) খুচরা বাজারে আমদানি করা বড় দানার মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০-১১৫ টাকা। দেশি মসুর ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৫৫ টাকা, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৫০ টাকায়। আমদানি করা নেপালি ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকায়, গত সপ্তাহে এর দাম ছিল ১৪০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি ডালে দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। আর প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। ডালের দাম কী কারণে বাড়ছে, এ সম্পর্কে ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে ডালের দাম বাড়ার কারণে খুচরায় তার প্রভাব পড়েছে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের সপ্তাহে ছিল ৩৮০ টাকা। এর আগে খাসির মাংসের দাম বেড়ে স্থির রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেছেন, ‘রমজান মাসে সিটি করপোরেশন থেকে মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়। কিন্তু গত রমজানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম এনামুল হকের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে মাংসের দাম নির্ধারণ করা হয়নি। এরপর থেকে মাংসের বাজারে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। যে যার ইচ্ছেমতো মাংসের দাম নির্ধারণ করছে। তিনি বলেন, ‘এ অনিয়ন্ত্রিত অবস্থা চলতে থাকলে রমজানে মাংসের প্রতিকেজি দাম ৫০০ টাকা হবে। মাংসের দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘আগে ভারত থেকে গরু আনার সময় সীমান্তে ১ থেকে ২ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হতো। এখন তার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫-৬ হাজার টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পূর্বের বছরগুলোতে রমজানের বেশ আগে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ালেও এখন তা না করে মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হওয়ার আগেই দাম বাড়িয়ে দেয়। অজুহাত হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘পণ্যের দাম রমজান উপলক্ষে বাড়েনি। এগুলোর দাম অনেক আগেই বেড়েছে। বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে স্থির রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি পেয়াজ (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ টাকা থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা থেকে ৩৪ টাকায়। যদিও আগের সপ্তাহে প্রতিহালি ডিম ২ টাকা কমে বিক্রি হয়েছিল। শুক্রবার পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগির একশ ডিম ৭২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮২০ টাকায় (একশ)। একুশে সংবাদ /এস/২৯-০৪-১৬
Link copied!