নারী পুরুষ উভয়ের উপরই পর্দা করা ফরজ
একুশে সংবাদ : ইসলাম ধর্ম শুধু নারীর ওপর পর্দা ফরজ করেনি। বরং নারী ও পুরুষ উভয়ের ওপর এ সম্পর্কিত বিধান সমানভাবে ফরজ করেছে। আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, “হে বনী আদম! তোমাদের শরীরের লজ্জাস্থানগুলো ঢাকার এবং তোমাদের দেহের সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য বিধানের উদ্দেশ্যে আমি তোমাদের জন্য পোশাক নাযিল করেছি। আর তাকওয়ার পোশাকই সর্বোত্তম।
এটি আল্লাহর নিদর্শনগুলোর অন্যতম, সম্ভবত লোকেরা এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে।”-(আরাফ:২৬)
এই আয়াতে আল্লাহ শুধু পুরুষদেরকে তাদের লজ্জাস্থান ঢেকে রাখার কথা বলেননি। রবং নারী পুরুষ উভয়কে তাদের লজ্জাস্থান ঢেকে রাখতে বলেছেন। সুতরাং পর্দা শুধু নারীর উপর ফরজ নয়। আল্লাহপাকের এই বিধান নারী পুরুষ সকলের উপর প্রযোজ্য। আমাদের সমাজে ধর্মীয় গোঁড়ামি, অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের কারণে নারীদেরকে পুরুষের চাপিয়ে দেওয়া অনেক বিধানের যাঁতাকলে স্পৃৃষ্ট হতে হয়।
যদিও শরিয়তের ওই বিধানাবলি পুরুষের জন্যও প্রযোজ্য। ইসলামের এমনই একটি অবশ্যপালনীয় বিধান হলো পর্দা, যা নারী-পুরুষ উভয়ের ওপর আরোপিত হয়েছে। কিন্তু যুগে যুগে এই পর্দাপ্রথা নারীর ওপর কঠোরভাবে পালনের নামে নারীকে বস্তুত কারাগারের ন্যায় অন্ধকার জীবন যাপনে বাধ্য করা হয়েছে।
দুনিয়ার চারদিকে আল্লাহর যেসব অসংখ্য নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে এবং যেগুলো মহাসত্যের সন্ধান লাভের ব্যাপারে মানুষকে সাহায্য করে, পোশাকের ব্যাপারটিও তার অন্যতম। মানুষের পোশাক কেবলমাত্র তার লজ্জাস্থান আবৃত করার এবং তার শারীরিক শোভাবর্ধন ও দেহ সংরক্ষণের উপায় হবে এতটুকুই যথেষ্ট নয়। আসলে এ ব্যাপারে তাকে অন্তত এতটুকু মহত্তর মানে পৌঁছতে হবে, যার ফলে তার পোশাক তাকওয়ার পোশাকে পরিণত হয়। অর্থাৎ তার পোশাক দিয়ে সে পুরোপুরি ‘সতর’ তথা শরীরের যেসব অংশ ঢেকে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে তা ঢেকে ফেলবে। সৌন্দর্য চর্চা ও সাজসজ্জার মাধ্যমে শরীরের শোভা বর্ধন করার ক্ষেত্রে তা সীমা অতিক্রম করে যাবে না বা ব্যক্তির মর্যাদার চেয়ে নিম্ন মানেরও হবে না।
একুশে সংবাদ /এস/১১-০৪-১৬
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :