আঃ লীগের কাউন্সিলর কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসছে নতুন চমক
আগামী ২৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। আসন্ন এই সম্মেলনকে ঘিরে ইতমধ্যেই চলছে পদ প্রত্যাশী নেতা-কর্মীদের প্রচার-প্রচারণা। দলের নীতি- নির্ধারনী পর্যায়ের সিনিয়র নেতাদের সু-দৃস্টির আশায় নতুন উদ্যমে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন অনেকেই।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করেই চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিশেষ করে কে কোন পদ পেতে যাচ্ছেন, কার সম্ভাবনা বেশি ইত্যাদি নানান আলোচনায় সরগরম রাজনৈতিক আড্ডার টেবিল। তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে। ‘জয় এবার পুরোদস্তুর রাজনীতিতে আসছেন’ ‘ কাউন্সিলে জয়কে দলের কোনো পদে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে তা নিয়েও অনেকের আনুমানিক ধারনার কথা আসছে ভেসে ভেসে।
শুধু দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীরাই নয় কেন্দ্রীয়ভাবেও জয়কে নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা কৌতূহল। এ মুহূর্তে সজীব ওয়াজেদ জয় সরাসরি আওয়ামী লীগের কোনো পদে না থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন । তবে জয়ের সক্রিয় রাজনীতিতে আসার দাবী বিশেষত তরুন নেতৃত্বের পক্ষ থেকেই সবচেয়ে বেশি ।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সুত্র থেকেও খবর ভাসছে এবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে আগের বারের চাইতেও বেশি আকারে থাকবে তরুন নেতৃত্ব। সেই সুবাদেই নেতা-কর্মীদের অনেকেই মনে করছেন জয় কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসলে দলের জন্য ভালো হবে। যোগ হবে একজন সৎ ও আদর্শবান রাজনীতিবিদের। তাদের আশা-‘জয় অন্তত যুগ্মসাধারণ সম্পাদকের পদ পাবেন’ এবারের সম্মেলনে ।
নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, রাজনীতির বাইরে থেকেও নিজেকে আলাদা পরিচয়ে দেশের মানুষের কাছে (বিশেষত তরুন প্রজন্মের কাছে) ইতমধ্যে জয় প্রতিষ্ঠিত করেছেন ।
এ প্রসঙ্গে আঃ লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানান, ‘ জয় রাজনৈতিক পরিবারের ছেলে। তার নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি। তার পারিবারের সুদীর্ঘ রাজনীতি এদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে। কিন্তু পরিবারতন্ত্রের বাইরে থেকেও রাজনীতিতে আসার যোগ্যতা জয়ের আছে। এটা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে বলে মনে করেন দলের নেতা-কর্মীরা। কেবল দেশে নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও তরুণ প্রযুক্তিবিদ হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে। দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জয়কে প্রয়োজন বলে মনে করেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
অন্যদিকে, এতদিন রাজনীতিতে খুব একটা সক্রিয় না থাকলেও সম্প্রতি রাজনীতিতে আগের চাইতে অনেক বেশি সক্রিয় দেখা যাচ্ছে জয়কে। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক আলোচনায় বিবৃতি দিচ্ছেন তিনি।
সম্প্রতি তিনি (সজিব ওয়াজেদ জয় ) নিজেও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, দলের তরুণ এমপি ও অপেক্ষাকৃত নবীণ মন্ত্রীদের সাথে বৈঠকে রাজনীতি নিয়ে নিজের মনোভাবের কথা জানিয়েছে। খুব পরিস্কার করে না বললেও দলের তৃনমুল নেতা-কর্মীদের সাথে তিনি কাজ করতে চান সে কথা অনেকটাই স্পস্ট হয়েছে তার বিভিন্ন বক্তব্যে ।
অতি সম্প্রতি তরুনদের সাথে মতবিনিময়ের একটি অনুষ্ঠানে জয় বলেন ‘আগামী নির্বাচনের কথা মাথায় নিয়ে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করতে হবে। আর জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করাই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য।
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :