AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

চট্টগ্রামের ৫ হাজার ১শ ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন : প্রধানমন্ত্রী


Ekushey Sangbad

১২:৩৭ পিএম, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬
চট্টগ্রামের ৫ হাজার ১শ ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে চট্টগ্রামের যে যাত্রা শুরু হয়েছে সেই যাত্রায় চতুর্থবারের মত আজ চট্টগ্রামে আসছেন তিনি। শনিবার প্রায় পাঁচ হাজার ১শ ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের ৭টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন ও নির্মিত প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : শাহআমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মূল শহরে দ্রুততম সময়ে আসা-যাওয়ার লক্ষ্যে নগরীর লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর পর্যন্ত দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে ১৬ কিলোমিটার। চার লেইন বিশিষ্ট এই সড়কের প্রস্থ হবে সাড়ে ১৬ মিটার। নগরীর মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারটি এই এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। এছাড়া প্রস্তাবিত কর্ণফুলী টানেলের সাথেও এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের সংযোগ স্থাপন করা হবে। fl মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের সঙ্গে ওয়াসা, টাইগারপাস, আগ্রাবাদ, বারিক বিল্ডিং, নিমতলা, কাস্টমস, সিইপিজেড, সিমেন্ট ক্রসিং ও কাঠগড় মোড়ে মোট নয়টি স্থানে উঠা-নামার জন্য ‘এনট্রি ও এক্সিট’ র‌্যাম্প থাকবে। সাড়ে পাঁচ মিটার প্রস্থের এসব র‌্যাম্পের মোট দৈর্ঘ্য হবে ১২ কিলোমিটার। দুই হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্প সিডিএ বাস্তবায়ন করলেও এর অর্থায়ন করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আশা করা হচ্ছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরীর ২ নম্বর গেট, জিইসি, ওয়াসা, টাইগারপাস, আগ্রাবাদ, বারিক বিল্ডিং, নিমতলা, কাস্টমস, সিইপিজেড, সিমেন্ট ক্রসিং ও কাঠগড় মোড়ের যানজট এড়ানো যাবে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে এক সুধী সমাবেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানবন্দর পর্যন্ত ফ্লাইওভার হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রণালয় পরিদর্শন কালে এ সম্পর্কিত অনুশাসন দেন। পরে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ বিআরটিসি ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে (চুয়েট) ফিজিবিলিটি স্টাডির দায়িত্ব প্রদান করা হয়। চুয়েটের ফিজিবিলিটি স্টাডিতে দেখেছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির ২০ বছরের মধ্যেই বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত আসবে আদায় করা টোল থেকে। bm আউটার রিং রোড : সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস রোধ, নগরীর যানজট নিরসন এবং পর্যটন ও আবাসন খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতেই পতেঙ্গা থেকে সাগরিকা স্টেডিয়াম এলাকা পর্যন্ত বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সড়কটি নির্মিত হলে নগরবাসীর যানজট থেকে মুক্তি মিলবে বলে আশা করেছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, আউটার রিং রোড নির্মাণ প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮৬৫ কোটি ২৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। পরে সংশোধিত ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৪৯৬ কোটি ৩৫ লাখ ৭১ হাজার টাকা। তবে এই ব্যয় আরও বাড়তে পারে। তিনটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এ প্রকল্পের অর্থায়ন করবে। এর মধ্যে সরকার দেবে ৬৯৮ কোটি ২৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকা, জাইকা ৭১৫ কোটি ৫৮ লাখ ২৩ হাজার ও বাকি ৮২ কোটি ৪৮ লাখ ৬১ হাজার টাকা দেবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক প্রাক-দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে ৩৬টি শিডিউল বিক্রি হলেও ১৮ নভেম্বর শেষ দিন ১৯টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান রয়েছে নয়টি। এগুলোর মধ্যে সাতটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে দরপত্রে অংশ নেয়। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার চারটি, ভারতের তিনটি, চীনের দুটি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইরানের যৌথ মালিকানাধীন একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়। জানা গেছে, সড়কটি নির্মাণের জন্য ৯০ দশমিক ৩৬১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। প্রায় ছয় মাস আগে সরকারি ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পর জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়। নভেম্বর মাস থেকে শুরু হয় মাটি ভরাটের কাজ। ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সড়কটি হবে তিনটি ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে উপকূল সড়কের দৈর্ঘ্য ১৫ দশমিক ২০ কিলোমিটার ও প্রস্থ ২০ দশমিক ৫ মিটার হতে ২৪ দশমিক ৫ মিটার। এ অংশে সড়কের উচ্চতা বর্তমানের তুলনায় তিন মিটার বাড়ানো হবে। এ ছাড়া দুই ফিডার সড়কের একটির দৈর্ঘ্য এক দশমিক ২০ কিলোমিটার এবং অপরটির দৈর্ঘ্য হবে দশমিক ৯৫ কিলোমিটার। এই সড়কের উচ্চতা হবে ৩০ ফুট। দুই পাশে ঢাল এবং মাঝে মূল সড়কসহ প্রশস্ততা হবে ৩০০ ফুট। চার লেনের মূল সড়কের প্রস্থ হবে ৮৪ ফুট। bus বায়েজিদ-ফৌজদারহাট বাইপাস : নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি সড়ক থেকে ফৌজদারহাটের ঢাকা ট্রাংক রোড পর্যন্ত ৬ কিলোমিটারের বাইপাস সড়কটি (লিঙ্ক রোড) নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ১৭২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কাপ্তাই, রাঙামাটি, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়াসহ বড় একটি অঞ্চলের ঢাকামুখী গাড়ি মূল শহর এড়িয়ে চলাচল করতে পারবে। ফলে নগরীতে যানজট যেমন কমবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা। সড়কটি শাহ আমানত সেতু, অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়ক এবং বায়েজিদ বোস্তামি থেকে ঢাকা ট্রাঙ্ক রোড পর্যন্ত সংযোগের মাধ্যমে আউটার রিং রোড এর অংশ হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন বরাবরে সংযোগ সড়ক থাকবে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, কনস্ট্রাকশন অব লিংক রোড ফর্ম ঢাকা ট্রাংক রোড টু বায়েজিদ বোস্তামি রোড ইনক্লুডিং লুপ রোড অ্যাট দ্যা আউটার পেরিফেরি অব এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব ওম্যান (এইউডব্লিউ) শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে। ইতিমধ্যে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদনের পর স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। ৬ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে এশিয়ান ওম্যান ইউনিভার্সিটির বরাবর দেড় কিলোমিটার সড়কের ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। 2016_01_25_12_11_49_EyP7txVwLl0LnjH1RD6ZOg8tNyXMGw_original বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ ও ম্যুরাল : রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মূল সড়কের বাইরে বাইপাস সড়কের ব্যবস্থা থাকলেও চট্টগ্রামে তা ছিলোনা। সেই চিন্তা থেকে নগরীর অক্সিজেন থেকে কুয়াইশ সংযোগ বাইপাস সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে । অনন্যা আবাসিক এলাকার ভিতর দিয়ে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৬০ ফুট প্রস্থ রাস্তাটি নির্মাণে সিডিএ খরচ করে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। যার নাম দেয়া হয়েছে 'বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ'। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ'র কুয়াইশ পয়েন্টে’র তিনদিক থেকে দেখা যায় দেশের সবচেয়ে বড় অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি। কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৭ ফুট উঁচু এবং ৩৩ ফুট প্রস্থের বিশাল ক্যানভাসে বঙ্গবন্ধুর এ তিনটি ম্যুরাল তৈরী করা হয়েছে। এ ছাড়া সড়কটির অক্সিজেন পয়েন্টে বসানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ম্যুরাল। কদমতলী ফ্লাইওভার : নগরীর ব্যস্ততম এলাকা কদমতলী। চট্টগ্রাম নগরীর বুক চিরে বটতলী স্টেশন থেকে ঢাকা অভিমূখে চলে যাওয়ায় রেললাইন পুরো নগরীতে দুই ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে। এ সমস্য সমাধানে এ ফ্লাইওভারটি নির্মান করা হয়েছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, ৫৮ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে এক দশমিক ৫৭ কিলোমিটার দীর্ঘ কদমতলী ফ্লাইওভারটি নগরীর উত্তর ও দক্ষিণাংশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী হিসেবে কাজ করবে। নগরীর বটতলী স্টেশন থেকে ডিটি রোডের ধনিয়ালাপাড়া পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ডেভেলপমেন্ট কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। এর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা না হলেও চট্টগ্রাম নগরীর কদমতলী ফ্লাইওভার দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে। পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ছয় প্রকল্প প্রসঙ্গে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে চট্টগ্রামে উন্নয়নের মহোৎসব শুরু হয়েছে। গত সাত বছরে এক দিনের জন্যেও চট্টগ্রামের উন্নয়ন বন্ধ ছিল না। যেটা দৃশ্যমান সেটি অস্বীকারের উপায় নেই। এটি অবিশ্বাস্য ব্যাপার। উন্নয়ন হচ্ছে চলমান প্রক্রিয়া। একবার উন্নয়ন বন্ধ হলে অনেকদিন ফাইল চাপা পড়ে থাকে। কিন্তু আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিডিএ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়ার পর থেকে একের পর এক প্রকল্প আমি হাতে নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীও চট্টগ্রামের উন্নয়নে সব প্রকল্প পাশ করেছেন। ২০০৯ সালের পর থেকে শুধু চট্টগ্রামের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করতে চারবার চট্টগ্রামে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার : চট্টগ্রাম চেম্বারের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে চালু হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। নান্দনিক স্থাপত্যশৈলী ও বিশ্বমানের সব সুবিধাসম্পন্ন ২৪ তলাবিশিষ্ট এ সেন্টার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম চেম্বারের একশ’ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগদান এবং ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারটি দেশের ব্যবসা বাণিজ্যে বড় ভূমিকা পালন করবে। এর মাধ্যমে বিশ্বের ৩২৭টি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হচ্ছে বন্দরনগরী। বিপণনের জন্য দেশের উৎপাদিত সব পণ্য থাকবে একই ছাদের নিচে। এরইমধ্যে আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সনদও নিয়েছেন এর উদ্যোক্তারা। 2016_01_29_10_56_36_nikcD65kWSmaPdi4J7xPpkIhw0h6kC_original নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় ৭৫ কাঠা জমির ওপর নির্মিত ছয় লাখ ৭৮ হাজার বর্গফুটের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ব্যাংক, এক্সিবিশন হল, শপিং মল, ফুড কোর্ট, আইজি জোন, কনভেনশন হল, সভাকক্ষ, ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার, হেলথ ক্লাব, ব্যাংকোয়েট হল, বিলিয়ার্ড রুম, স্নুকার রুম, টেনিস কোর্ট ও সুইমিং পুল থাকছে। ভবনের দশম থেকে ২০তলা পর্যন্ত পাঁচ তারকা হোটেলের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ভবনের ২১ তলায় থাকছে হেলিপ্যাড। ২৯৮ ফুট উচ্চতার এ ভবন চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ ভবন। ২০০৬ সালে এ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হলেও সময় লেগেছে ২০১৫ সাল পর্যন্ত। বিশ্বের অন্য সব ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের মতো সব নিয়ম-কানুন মেনে নির্মাণ করা হয়েছে এটি। চট্টগ্রাম চেম্বার সূত্রে জানা যায়, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হতে লাইসেন্স ফি বাবদ অ্যাসোসিয়েশনকে প্রতিবছর ১০ হাজার ইউএস ডলার দিতে হয়েছে চট্টগ্রাম চেম্বারকে। আর প্রতিবছর সদস্য হিসেবে অনুমোদনের জন্য দিতে হয়েছে এককালীন দুই কোটি টাকা। ভবনটির ৫ম তলায় ৪০ হাজার বর্গফুটের এক্সিবিশন হলে ১৩৮টি স্টলে থাকবে রফতানিযোগ্য পণ্যের সম্ভার। অনলাইনে পণ্য দেখে অর্ডার করতে পারবেন ক্রেতারা। তৈরি পোশাক থেকে জুতা, স্টিল সামগ্রী, খাদ্যপণ্য, সিরামিক সবকিছুই থাকবে এ এক্সিবিশন হলে।
Link copied!