AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কুড়িগ্রামে ৮৩ স্কুলের মেরামতের টাকা আত্মসাতেরঅভিযোগ


Ekushey Sangbad

১২:৫৯ পিএম, অক্টোবর ৩, ২০১৫
কুড়িগ্রামে ৮৩ স্কুলের মেরামতের টাকা আত্মসাতেরঅভিযোগ

কুড়গ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ৮৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে বেশিরভাগ বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামত কাজে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এক লাখ টাকা বরাদ্দে খরচ ২০-৩০ হাজার, ৪২ হাজার ২শ বরাদ্দে খরচ ১০-২০ হাজার এবং ২০ হাজার টাকা বরাদ্দের বিদ্যালয়গুলোতে নামমাত্র ৫-৭ হাজার টাকা খরচ করে বাকি টাকা ভাগাভাগির অভিযোগ পাওয়া গেছে।উপজেলায় সরকারি ও নব্য জাতীয়করণ মিলে ১৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এবারে ৮৩টি বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ৩২ লাখ ১৪ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। ১১টি বিদ্যালয়ে ১লাখ করে, ২০টিতে ৪২ হাজার ২শ করে, ২৩ টিতে ৩০ হাজার করে এবং ২৯টি বিদ্যালয়ে ২০ হাজার করে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।এক লাখ করে বরাদ্দকৃত চরশৈলমারী রেজি. প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিরকামারী, শালমারা, কুমরিয়ারপাড়, পূর্ব নেওয়াশী, রাঙ্গালীরবস সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কচাকাটা, দিগদারী, খেলারভিটা, পশ্চিম রামখানা ও কাটাজালাষ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। পশ্চিম রামখানা, কাটাজালাষ সরকারী ও চরশৈলমারী রেজি. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে কেউ বিদ্যালয় ভবনটি চুন করেছেন, কেউ ভাঙ্গা মেঝেতে কয়েক কড়াই খোয়া ফেলেছেন। প্রায় সব বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে প্রায় একই অবস্থা।এসব বিদ্যালয়ে এক লাখ টাকার মধ্যে খরচ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা।পশ্চিম রামখানার প্রধান শিক্ষক ফিরোজুর রহমান বলেন, যে কাজের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে তা করা হয়েছে। নাগেশ্বরী মডেল, নাগেশ্বরী বালিকা, নেপারপুচি, গোলেরহাট, বটতলা, বিষ্ণুপুর, চররহমানেরকুটি, শালমারা, আজমাতা, শিয়ালকান্দা, রায়গঞ্জ, পাখীউড়া রেজি: প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাপনা, বুড়িরছড়া ভিতরকুটি, উত্তরপন্থাবাড়ী, দক্ষিণ কাটাজালাষ, হাজীপুর, পাটেশ্বরী, পুস্করীনিরপাড়, বল্লভপুররেজি: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বরাদ্দ দেয়া ৪২ হাজার ২শ টাকা করে।৩০ হাজার করে বরাদ্দ দেওয়া হয় কন্যামতি আকবর হোসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দামালগ্রাম, ঢলুয়াবাড়ী, চৌদ্দঘড়ি, বোয়ালমারী, ভিতরবন্দ ১নং,ভাটিকেদার, চরবেরুবাড়ী, আজমাতা ঝাকুয়াটারী, বড়বাড়ী, বদিজমাপুর, দক্ষিণ সুখাতী, চরদামালগ্রাম, ব্রক্ষতর রেজি. প্রাথমিক বিদ্যালয়,চরবৃষ্ণপুর, বালাবাড়ী, চরকৃষ্ণপুর, চান্দেরহাট, ব্যাপারীটারী, ভবানন্দেরকুটি, ভাঙ্গামোড়, ডায়নারপাড় ও আরাজী কুমরপুর কুদরতই রেজি: প্রাথমিক বিদ্যালয়।২০ হাজার টাকা করে বরাদ্দদেওয়া হয় শিবনাথেরবস সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুমেদপুর, টেপারকুটি, নন্দনপুর, মন্নেয়ারপাড়, রঘুরভিটা, মাদারগঞ্জ, নসিংডাঙ্গা, ঝাউকুটি, মুড়িয়াহাট, কুটিবামনডাঙ্গা, ধনীরপাড়, উত্তমখানা, ২নং নেওয়াশী, পশ্চিম নেওয়াশী,পূর্ব সূখাতী, পয়ড়াডাঙ্গা, দিগদারী ভবানীপুর রেজি: প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফান্দিরভিটা, গোলাপনগর, হাতিয়াভিটা, এলাহিরচর, ইন্দ্রগড় ব্যাপারীটারী, হাসনাবাদ, গোপালপুর, গুন্ডিরচর, গোবর্দ্ধনকুটি হাজীপাড়া,ঘরজ্জেয়াটারী, হাসনাবাদ খামার ব্যাপারীটারী রেজি: প্রাথমিক বিদ্যালয়।বেশকিছু বিদ্যালয়ের বিষয়ে খবর নিয়ে জানা গেছেপ্রধান শিক্ষকগণ নামমাত্র কয়েকহাজার টাকাখরচ করে কেউ বিল্ডিং এর বাইরে চুন লাগিয়েছে। কেউ একটি দরজা ঠিক করেছে। পূর্বের ক্রয় করা শিশু উপকরণ নতুন করে কেনার ভাউচার সংগ্রহ করে উপকরণের বরাদ্দও আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তেএক প্রধান শিক্ষক বলেন, ১ লাখ বরাদ্ধে অফিসে দিতে হয়েছে ১০ হাজার। অন্যান্য খরচ হয়। শতভাগ কাজ কোথায় হয় না।একাধিক শিক্ষক বলেন, বরাদ্দের চেক উঠাতে গেলে অফিস সহকারীকে হিসেব করে পার্সেন্টেজ দিতে হয়। এটিও স্যারেরা তো আছে।এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী (ইউডিএ) আজিজার রহমান বলেন, অফিসে কোন লেনদেন হয় না। চেক দিয়ে দেওয়া হয়।উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তামোসলেম উদ্দিন শাহ বলেন, এখনও অনেক বিদ্যালয়ে কাজ চলছে। এসব বিদ্যালয়ে অর্ধেক টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে। পুরো কাজ শেষ হলে সরেজমিন দেখে বাকি টাকা দেওয়া হবে। এখানে দুর্নীতির সুযোগ নেই। যদি কেউ করে থাকে তদন্ত করে দেখা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হায়াত মো. রহতুল্লাহ বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।       একুশে সংবাদ ডটকম/এসএস/০৩.১০.২০১৫
Link copied!