নড়াইলে শিশু শাহিনের হত্যার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল: নড়াইলের লোহাগড়ায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র শাহিন হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা শাহিনের মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। বিস্তারিত উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই এলাকার সহ¯্রাধিক নারী পুরুষ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মৃতদেহ নিয়ে শাহিনের বাড়ি কালা চাঁদপুর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি, ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর প্রদক্ষিণ শেষে নলদী বাজারে যায়। এসময় বাজার সড়কের দুপাশে দাড়িয়ে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করে। নানা শ্লোগানের প্লাকার্ড নিয়ে আধাঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে নিহত শাহিনের স্কুলের শিক্ষক, সহপাঠীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং এলাকার বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষরা অংশগ্রহণ করে নির্মম এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানান। এ সময় বক্তব্য দেন নলদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বাদশা, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বেলাল আহমেদ, মিজানুর রহমান, মেহেদী হাসান, লিয়াকত হোসেন প্রমুখ। বক্তারা এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। মানববন্ধন শেষে শাহিনের মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে তার জন্মস্থান নোয়াপাড়া গ্রামে যান। পরে স্থানীয় মাদ্রাসা চত্বরে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান জানান, শাহিন হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার চাচা বাদী হয়ে ৫জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যে এই মামলার আসামী শামীমা বেগম (৬০), জাহিদুর রহমান (৩৫), জাহাঙ্গীর (৫৫) ও লিটনকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপর আসামী শিমুলকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য যে, লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের কালাচাঁদপুর গ্রামের শওকত হোসেনের ছেলে শাহীন গত ২৪ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হয় এবং ছয়দিন পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর ওই গ্রামের একটি গর্তের মাটি চাপা দিয়ে রাখা অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের ডানহাত কেটে ফেলা হয় এবং পায়ের রগ কেটে দেয়াসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিবেশি শিমুল মুন্সীর ভাগ্নে তামিমকে শাহিনের মা মারধরের ঘটনায় এবং জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিহিংসার জের ধরে শাহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। শাহীনের পিতা শওকত ফকির দুবাই থাকেন। পূর্বের বাড়ি পাশ্ববর্তী নোয়াপাড়া গ্রামে। তিনবছর আগে শিমুল মুন্সীর শরীকের জমি কেনেন এবং একটি একতলা বিশিষ্ট একটি বিল্ডিং নির্মাণ করে তিনমাস আগে নতুন বাড়িতে ওঠেন। শরীকের জমি শিমুল মুন্সী কিনতে না পারায় শওকতের সাথে মনোমালিণ্যের সৃষ্টি হয়।
একুশে সংবাদ ডটকম/এসএস/০৩.১০.২০১৫
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :