পাকিস্তানের আজহার আলী আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে চান
একুশে সংবাদঃ ইতিবাচক ও আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়ে খেলাই নিজের সাফল্যের চাবিকাঠি বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়ক আজহার আলী। কেবলমাত্র তাই নয়- উদাহরণ সৃষ্টি করতে একজন অধিনায়ককে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া দরকার বলেও বিশ্বাস করেন ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
পাক প্যাসন ওয়েবসাইটকে আজহার বলেন, ‘আমাকে অধিনায়ক নির্বাচন করার সময়ই আমি আক্রমণাত্মক মার্কা ক্রিকেট খেলতে চেষ্টা করেছি এবং তার মানে একজন অধিনায়ক হিসেবে মানসিকভাবে আমার দর্শন হতে হবে আক্রমণাত্মক।’
তিনি বলেন, ‘আমার দলের সকল খেলোয়াড় ইতিবাচক ক্রিকেট খেলবে- এটাই আমি চেয়েছিলাম এবং অধিনায়ক হিসেবে আমারও এ মানসিকতা থাকতে হবে। অবস্থা অনুযায়ী কিছুটা থিতু এবং ধৈর্যশীল হওয়া দরকার না হলে সকল খেলোয়াড়কে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।’
পাকিস্তান ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘আমি মনে করছি দলের খেলার ধরন কি হবে সেটা একজন অধিনায়ককেই সেট করতে হবে এবং তাকেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। দল কিভাবে খেলবে সে অনুযায়ী তিনি নিজে খেলছেন সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।’
২০১৫ বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়ার পর সমালোচকদের জবাব দিতেই ওয়ানডে দলে পুনরায় ডাক পেয়েই সুযোগটি লুফে নিয়েছেন বলেও জানান আজহার।
আজহার বলেন, ‘ওয়ানডে দলের আমার অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জনগণ কিংবা গণমাধ্যম থেকে আমি খুব বেশি সমর্থন পাইনি।’
‘ওয়ানডে ক্রিকেটে আমার গড় রান ছিল ৪০’র মতো। কিন্তু আমি দল থেকে বাদ পড়ার পরও ৫০ ওভারের দলে আমার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে খুব বেশি সমর্থন পাইনি। যাই হোক, তবে আমার লক্ষ্য ছিলো সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভালো পারফরমেন্স করতে পারি সেটা জনগণের সামনে প্রমাণ করা। আমি কখনোই আশা ছেড়ে দেইনি এবং কেবলমাত্র কঠোর পরিশ্রম অব্যাহত রেখেছি। পাশাপাশি যে কোনো সময় ডাক পেলেই আমি প্রস্তুত ছিলাম সেটা নিশ্চিত করেছি।’
অধিনায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে বলে জানান আজহার। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেয়াটা তার জন্য খুবই সহায়ক হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ব্যাখ্যা করে আজহার বলেন, ‘আমি মনে করি একজন অধিনায়ক হিসেবে আপনাকে যে কোনো চাপ সামলানোর দক্ষতা থাকতে হবে এবং সেটা ঘরোয়া ক্রিকেটে খুব দ্রæতই শিখতে পেরেছি বলে আমি মনে করছি।’
‘কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দলের নেতৃত্ব দেয়াটা অনেক বেশি কঠিন এবং চাপ ও প্রত্যাশার লেবেলটা অবশ্যই অনেক বেশি।’
‘পুনরায় ওয়ানডে দলে ফেরায় এবং অধিনায়ক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার সময় আমার ওপড় চাপটা ছিল দ্বিগুণ। আপনি নতুন অধিনায়ক হোন কিংবা দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললেও পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব করাটা খুবই কঠিন একটি কাজ। তবে এ পর্যন্ত যা হয়েছে এবং ছেলেরা আমাকে যেভাবে সাহায্য করছে তাতে আমি সন্তষ্ট।’
এ ছাড়া সকলের চেষ্টায় দলের ফিল্ডিংয়ের মানও উন্নতি হচ্ছে বলে জানান আজহার। টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ উল হকেরও প্রশংসা করেন তিনি।
একুশে সংবাদ ডট কম/ আলম গীর হােসনে/ ২৯.০৮.২০১৫
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :