AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ইন্টারনেট নিয়ে প্রতারণা


Ekushey Sangbad

০৩:২৯ পিএম, আগস্ট ২৬, ২০১৫
ইন্টারনেট নিয়ে প্রতারণা

একুশে সংবাদ : ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সেস্নস্নাগান প্রশাসনের সর্বত্রই। প্রশাসনের শিখর থেকে শেকড়ে ডিজিটাল পদ্ধতি চালুর প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় নিরনত্মর চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু যাদের জন্য এই প্রচেষ্টা তারাই পাচ্ছে না এর সুফল। বরং মাঝখানে মধ্যস্বত্ব্বভোগীরা ফুলেফেঁপে উঠলেও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। পলস্নী অঞ্চলসহ সাধারণ মানুষের কাছে সহজে প্রযুক্তি সুবিধা পৌঁছে দিতে কমানো হয়েছে ব্যান্ডউইথের মূল্য। আরও তা কমাতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্রাহক সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে রাজস্ব হারিয়ে যাদের জন্য ব্যান্ডউইথের মূল্য কমানো হয়েছে সেই গ্রাহকরাই পাচ্ছেন না এর সুফল। বরং কম মূল্যের ব্যান্ডইউথ বেশি মূল্যেই (আগের মূল্যে) কিনছেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। কম মূল্যের ইন্টারনেট বেশি মূল্যে বিক্রি, স্পিড নিয়ে প্রতারণা, ইচ্ছাকৃত সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখাসহ নানা অনিয়মের কারণে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি)। সেই বিটিআরসি’র নিষ্ক্রিয়তা ও শীর্ষ কর্মকর্তাকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান (আইএসপি), ওয়াইম্যাক্স অপারেটর ও মোবাইল অপারেটররা গ্রাহকদের সাথে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতারণা। এতে একদিকে গ্রাহকরা পাচ্ছেন নিম্নমানের ইন্টারনেট সেবা, সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব এবং অনিয়ম করেও ছাড় পাচ্ছে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান।   এছাড়া লাইসেন্স না নিয়ে রাজধানী জুড়ে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করলেও এখন পর্যনত্ম নোটিশ প্রদান ছাড়া শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি কমিশন। অথচ লাইসেন্সবিহীন এসব প্রতিষ্ঠান শত শত কোটি টাকা কামিয়ে নিলেও রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। আইএসপি লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ বিটিআরসির এক শ্রেণির কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা করছে লাইসেন্সবিহীন এসব প্রতিষ্ঠান। নিম্নমানের সেবা দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ আইএসপিদের বিরম্নদ্ধেও। ব্রডব্যান্ড প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১ এমবিপিএস স্পিডের ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে ২০ কেবিপিএসও পাচ্ছে না অনেক গ্রাহকই। এই অভিজ্ঞতা পেয়ে রাসেল নামের এক গ্রাহক নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কাছে অভিযোগ করেছেন ইন্টারনেট কোম্পানিগুলো পাবলিকের সাথে ব্যান্ডউইথ প্রতারণা করছে। সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানকে অভিযোগ করলেই ল্যাপটপ/কম্পিউটার, বাসার লোকেশান, উচ্চ ভবন কিংবা সংযোগের সমস্যার কারণে স্পিড পাচ্ছে না বলে জানিয়ে দেয়া হয়। নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) কাছে অভিযোগ করে প্রতিকার পেয়েছেন এমন গ্রাহকের সংখ্যা খুবই কম। বরং খোদ বিটিআরসি’র বিরম্নদ্ধেই অভিযোগ রয়েছে নিম্নমানের সেবা ও গ্রাহকদের সাথে প্রতারণার কারণে ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে এক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়ার। দেশে দ্রম্নতই বাড়ছে মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারীর সংখ্যা। আনলাইন কেনাকাটা, ব্যাংকিং, পড়াশুনা, স্বাস্থ্য সেবা, ই-গভর্নেন্সসহ টেলিকনফারেন্সের মতো গুরম্নত্বপূর্ণ পরিসেবা এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্রহণ করছে সাধারণ মানুষ। তবে ইন্টারনেট নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে অভিযোগ সব শ্রেণী ও পেশার মানুষের। উচ্চমূল্যের পাশাপাশি ধীরগতি, নেটওয়ার্কে সমস্যা, লাইন কেটে যাওয়া, ব্যবহারের চেয়ে টাকা বেশি নেওয়াসহ অনেক অভিযোগ ইন্টারনেট সেবাদাতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর বিরম্নদ্ধে। দেশে থ্রিজি সেবা চালু থাকলেও ইন্টারনেটের ধীরগতি এখনও একটি বড় সমস্যা।   দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, জাপান যেখানে ১৬ থেকে ২২ এমবিপিএস-এ ইন্টারনেট সেবা প্রদান করছে সেখানে বাংলাদেশে এখনো ১ এমবিপিএস নিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। গ্রাহকদের পক্ষ থেকে ইন্টারনেটের ভোগানিত্ম নিয়ে বারবার অভিযোগ করলেও কোন কাজে আসছে না। খোদ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললেও গ্রাহকদের ভোগানিত্ম পোহাতে হচ্ছে দিনের পর দিন। এমনকি কমিশনের জরিপে নিম্নমানের ইন্টারনেট সেবা দেয়ার প্রমাণ ও তথ্য পেলেও বাস্তবে কার্যকর কোন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। গত মে থেকে আগস্ট পর্যনত্ম কেবল বিটিআরসিতেই এ বিষয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে ১৬৭টি। নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহকরা প্রথমে সংশিস্নষ্ট সেবাদানকারী অপারেটর কিংবা প্রতিষ্ঠানের কাছে সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করে থাকেন। তাদের কাছে প্রতিকার না পেলে পরবর্তীতে তারা নিয়ন্ত্রণ সংস্থাতে অভিযোগ করেন।   বিটিআরসির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের বিরম্নদ্ধে বিশেষ অভিযোগ জমা পড়েছে ১৬টি, সংযোগের সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করেছেন ৩২ জন গ্রাহক। ইন্টারনেটের মূল্য নিয়ে অভিযোগ এসেছে ৩০টি, ইন্টারনেটের গতি/ব্যান্ডউইথ সমস্যার অভিযোগ ৫১টি এছাড়া ইন্টারনেট বিষয়ে অন্যান্য আরও ৩৮টি অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যাটি আরও বেশি বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিটিআরসির কাছে আসা অভিযোগ থেকে জানা যায়, মিরপুর শেওড়াপাড়ার এক গ্রাহক বিটিআরসির কাছে অভিযোগ করে বলেন, তিনি ওয়ানলিংক নামে একটি ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সংযোগ নিয়েছেন। ওই প্রতিষ্ঠানটি ইন্টারনেট সেবার নামে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করছে। প্রায় প্রতিদিনই প্রতিষ্ঠানটির সেস্না ইন্টারনেটের অভিজ্ঞতা হচ্ছে। আবার মাঝে মাঝে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। অনেকবার এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযোগ করেছি। কিন্তু প্রতিত্তুরে বলা হচ্ছে বিদ্যুতের কারণে এটা হয়েছে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ঠিক হবে। কিন্তু চার সপ্তাহ পার হলেও সেই সমস্যা সমাধান হয়নি। ইন্টারনেটের মূল্য নিয়ে এক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জন্য অধিক মূল্য আদায় করছে।   ৫১২ কেবিপিএসএর মূল্য ১ হাজার, ৮০০ কেবিপিএস ১ হাজার ২০০, ১ এমবিপিএসএর জন্য ১ হাজার ৪০০ টাকা আদায় করছে। এই মূল্যকে তিনি অধিক বলে উলেস্নখ করে বিটিআরসিকে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ১ এমবিপিএস ইন্টারনেট বিক্রি করছে ৫৬২ টাকা ৫০ পয়সায়। এই ১ এমবিপিএস ইন্টারনেট গ্রাহক পর্যায়ে যাচ্ছে ১৪শ’ থেকে ২ হাজার টাকা মূল্যে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় প্রতিটি আইএসপি প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট সেবা প্রদানের নামে প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করছে। নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি এসব প্রতিষ্ঠানের বিরম্নদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রতিষ্ঠানগুলো স্বেচ্ছাচারিতার সঙ্গে একচেটিয়া ব্যবসা পরিচালনা করছে। গ্রাহকরা ভোগানিত্মতে পড়লেও তাদের কোন অভিযোগই আমলে নেন না তারা। নিম্নমানের স্পিড, অধিক বিল আদায়, সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াসহ নানা অনিয়ম ও প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ করলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সময়ক্ষেপণ করে।   আর বিটিআরসির কাছে অভিযোগ করে কোনো দিনই প্রতিকার পাননি বলে জানিয়েছেন অসংখ্য গ্রাহক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি আব্দুল হাকিম বলেন, লাইসেন্সধারী আইএসপি অপারেটরদের সার্ভিস ভালো এবং তাদের কাছে পর্যাপ্ত ব্যান্ডইউথ রয়েছে। কিন্তু প্রতিটি এলাকায় লাইসেন্সবিহীন কিছু প্রতিষ্ঠান অননুমোদিত সেবা প্রদান করছে। তাদের কারণেই গোটা আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্নাম হচ্ছে। তবে প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি আইএসপির নিম্নমানের সার্ভিসের কথা জানালে আব্দুল হাকিম স্বীকার করে বলেন, কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান খারাপ সার্ভিস দিচ্ছে। আইএসপিদের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সেবা নিয়ে অভিযোগ স্বীকার করলেও মূল কারণ হিসেবে জানিয়েছেন লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর ইন্টারনেট সেবা প্রদানের ব্যবসাকে। আর এজন্য তারা বিটিআরসিকেও দায়ী করেছেন। তাদের অভিযোগ বিটিআরসির এক শ্রেণির কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশ করে ক্যাবল ডিস ব্যবসায়ী ও ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান রাজধানীসহ সারাদেশেই ইন্টারনেট সেবা প্রদানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছে। এসব প্রতিষ্ঠান সরকারকে কোন রাজস্ব প্রদান কিংবা জবাবদিহিতা না থাকায় এবং ব্যান্ডউইথের স্বল্পতা থাকা সত্ত্বেও কম মূল্যে অধিক গ্রাহককে সেবা প্রদান করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসির সংশিস্নষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, কমিশন যে কোন ধরনের লাইসেন্সবিহীন টেলিকম সেবা প্রদান না করার জন্য বারবার নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছে। যেসব প্রতিষ্ঠান এসব কর্মকা-ে জড়িত তাদের সতর্ক করার পরও যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরম্নদ্ধে সংশিস্নষ্টতা পাওয়া যায় তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এখন পর্যনত্ম কোন কোন প্রতিষ্ঠানের বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি কোন প্রতিষ্ঠানের নাম বলতে পারেন নি।মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গ্রাহকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাজধানী উত্তরার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম মোবাইলে বাংলালিংকের থ্রিজি ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। বিজ্ঞাপনে দ্রম্নতগতির ইন্টারনেটের কথা বলা হলেও বাস্তবে পাচ্ছেন কচ্ছপগতির অভিজ্ঞতা। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তানভীর আসিফ। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে নিজের স্মার্ট ফোনে গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। এই অপারেটরের থ্রিজি ২জিবি প্যাকেজ ইউজার কিন্তু স্পিড পাচ্ছেন ১৫ কেবিপিএস। স্পিড না পাওয়ায় গ্রামীণফোনের কাছে অভিযোগও করেছেন। আর রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের ইন্টারনেট গতি নিয়ে যেনো অভিযোগের অনত্ম নেই। রাজধানীতে কিছুটা চললেও বাইরে গেলেই ধৈর্যের পরীক্ষা নেয় এই অপারেটর। একটি সাইটে প্রবেশ করতেই অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময় ধরে। ৬৪ জেলায় অপারেটরদের থ্রিজি সেবা প্রদানের ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। অথচ রাজধানীসহ প্রতিটি জেলা শহরেই থ্রিজি সেবা নিয়ে ভোগানিত্মর কথা জানিয়েছেন প্রতিটি অপারেটরের গ্রাহকরা। বিটিআরসির কাছে আসা অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইন্টারনেট নিয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ রয়েছে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের বিরম্নদ্ধে। এই দুটি অপারেটরের ইন্টারনেট সেবা নিয়ে গ্রাহক অসনেত্মাষের পরিমাণ বেশি। বিশেষ করে থ্রিজি’র দামে টুজি সেবা নিয়ে গ্রাহকরা অভিযোগ জানিয়েছেন কমিশনের কাছে। এছাড়া থ্রিজির ইন্টারনেট মূল্যে টুজি সেবা দেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে। থ্রিজির দামে টুজি সেবা প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) ইয়াসির আজমান জানান, গ্রামীণফোন থ্রিজির দামে টুজি নয়, বরং টুজির দামে থ্রিজি ইন্টারনেট সেবা প্রদান করছে। মোবাইল ইন্টারনেটের উচ্চমূল্য নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। বিশেষ করে বিটিআরসি’র পক্ষ থেকে ১২৫ টাকায় ১ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডইউথ মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হলেও। গ্রাহক পর্যায়ে কোন অপারেটরই তা পৌঁছে দিচ্ছে না। বরং তা দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ দামে গ্রাহকদের কিনতে হচ্ছে। তারপরও ইন্টারনেট গতি ও সেবা নিয়ে লুকোচুরির আশ্রয় নেয় প্রতিষ্ঠানগুলো। ওয়াইম্যাক্স সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলালায়নের দুর্বল ইন্টারনেট গতি নিয়ে এক গ্রাহক অভিযোগ করেছেন। যদিও কম গতির ইন্টারনেট সেবার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘আমি নিজেও বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহার করি। ইন্টারনেটের গতি অনেক কম। ইন্টারনেটের দাম কমাতে ও গতি বাড়াতে প্রয়োজনে নীতিমালা পরিবর্তন করা হবে। সমস্যা কোথায়, সেটা খুঁজে বের করা হবে।’ গ্রাহকদের অভিযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে ইন্টারনেট সেবার নামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো স্বেচ্ছাচারিতার সঙ্গে একচেটিয়া ব্যবসা করছে। অথচ গ্রাহকরা কোনো সেবা পাচ্ছেন না। আর নিয়ন্ত্রণহীন ব্যবসার কারণে গ্রাহকদের কোনো অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না কোম্পানিগুলো। এমনকি অভিযোগের জন্য টেলিফোনেও তাদের পাওয়া যায় না। আর পাওয়া গেলে নানা অজুহাত দেখিয়ে শুধু সময়ক্ষেপণ করা হয়। জানা গেছে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে ৫৪৪টি প্রতিষ্ঠান। আর থ্রিজি সেবা দিচ্ছে ৫টি মোবাইল অপারেটর এবং ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে তিনটি প্রতিষ্ঠান। এতগুলো প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট সেবা দিলেও এদের উপর কোন কার্যকর নিয়ন্ত্রণ করছে না নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। নিয়ম লক্সঘন করলে কিংবা গ্রাহক স্বার্থ ক্ষুণ্ন করলে শাস্তি দেয়া হয়না কোন প্রতিষ্ঠানকেই। এজন্য বিটিআরসির কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশ রয়েছেও বলে গ্রাহকদের অভিযোগ। ইনকিলাব   একুশে সংবাদ ডটকম/এসএস/২৬.০৮.০১৫
Link copied!