AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

৬৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সব উপজেলায় টেলিটকের থ্রিজি


Ekushey Sangbad

০৭:২২ পিএম, আগস্ট ২৩, ২০১৫
৬৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সব উপজেলায় টেলিটকের থ্রিজি

একুশে সংবাদ : ২০১২ সালের ১৪ অক্টোবর দেশে আনুষ্ঠানিক প্রথম থ্রিজি ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা চালু করে টেলিটক। প্রায় তিন বছর পার হলেও প্রতিষ্ঠানটি এখনও সবগুলো জেলায় থ্রিজি সেবা চালু করতে পারেনি। ২০১৪ সালে এসে হঠাৎ করেই থ্রিজি সেবার বিস্তৃতিতে ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করে টেলিটক। তবে প্রতিযোগিতার বাজারে এবার শুধু জেলায় নয় উপজেলা শহরেও থ্রিজি সেবা বিস্তৃতি করার লক্ষ্যে ৬৭৮ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের ৭টি বিভাগীয় শহরসহ সব জেলা ও উপজেলা শহর থ্রিজি নেটওয়ার্কের আওতায় আসছে। দেশের উপজেলা শহর, গ্রোথ সেন্টার, বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থ্রিজি সেবা সম্প্রসারণের জন্য ৬৭৮ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ ব্যয়ের পুরোটাই সরকারের নিজস্ব (টেলিটক) তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে। চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে আগামী ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২০১৭ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ করবে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড (টিবিএল)। পরিকল্পনা কমিশন সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। কমিশন সূত্র জানায়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রকল্পের উদ্যোগ নেয়। পরে প্রকল্প যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পরিকল্পনা বিভাগে পাঠায়। জানা গেছে, প্রকল্পটি ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের এডিপিতে সবুজ পাতার বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত প্রকল্প তালিকার অন্তর্ভুক্ত। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানায়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সব উপজেলা শহর, গ্রোথ সেন্টার ও বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে থ্রিজি সেবার আওতায় আনা হবে।   এছাড়া অন্যন্যা স্থানে থ্রিজি সম্প্রসারণে আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিসহ ১২০০ বেইজ স্টেশন স্থাপন, থ্রিজি চালু হওয়া স্থানে ক্যাপাসিটি বাড়ানো, টেলিটক থ্রিজি গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য আরও ১৭ লাখ সংযোগ স্থাপন, ই-গভর্নেন্স, ই-শিক্ষা কার্যক্রম, ই-হেলথ সুবিধাদি প্রদান প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য। এদিকে গ্রামাঞ্চলে ২.৫জি বাড়াতে ৫০০টি বেজ ট্রান্সসিভার স্টেশন (বিটিএস) টাওয়ার করা হবে। গ্রামে এ সেবা দিতে আনুষঙ্গিক ট্রান্সমিশন যন্ত্রপাতিসহ ইন্টারনেট প্রটোকল (আইপি) ও উন্নত প্রযুক্তির কোর নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে। এছাড়া, এ প্রকল্পের আওতায় যেসব স্থানে ইতোমধ্যে ৩জি চালু করা হয়েছে, সেসব স্থানে হাইস্পিড প্যাকেজ একসেস (এইচএসপিএ) পদ্ধতি স্থাপন করে সক্ষমতা বাড়ানো হবে।   এ প্রসঙ্গে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখন থ্রিজি সেবা চালু করে, তখন অনেকে এই পদ্ধতিকে ভিন্ন চোখে দেখেছিল। অনেকে ভেবেছিল থ্রিজি প্রযুক্তি মানুষ গ্রহণ করবে না। কিন্তু বর্তমানে আমরা দেখছি, উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ের সাধারণ মানুষও ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। তাই আমরা উপজেলায় থ্রিজি ও গ্রামে ২.৫জি ইন্টারনেট সেবা চালু করবো। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চায়। তাই শিগগির কিছু স্থানে পরীক্ষামূলক ফোরজি সেবা চালু করা হবে।     একুশে সংবাদ ডটকম/এসএস/২৩.০৮.০১৫
Link copied!