AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নেফারতিতির দেহ এখনো অক্ষত


Ekushey Sangbad

১১:৩৪ এএম, আগস্ট ১৯, ২০১৫
নেফারতিতির দেহ এখনো অক্ষত

একুশে সংবাদ : প্রাচীন মিশরীয় সাম্রাজ্যের রাণী নেফারতিতির দেহ সমাধিতে এখনো অক্ষত রয়েছে বলে জানা গেছে। তার ছেলে রাজপুত্র তুতেনখামেনের পাশে একটি গুপ্ত ঘরে তার মমি সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্মতত্ত্ববিদেরা। এ বিষয়ে ব্রিটেনের এক গবেষক জানিয়েছেন, উচ্চ প্রযুক্তির ইমেজের মাধ্যমে দেখা গেছে, নেফারতিতির দেহ এখনো অক্ষত রয়ে গেছে। নেফারতিতির ছেলে তুতেনখামেনের সমাধি কেভি৬২ নামে পরিচিত। তিনি ১২২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মারা যান। তখন তিনি কিশোর। তার দেহও অক্ষত অবস্থায় আবিষ্কার করা হয়। এখন থেকে ৯৩ বছর আগে তার দেহ আবিষ্কার করে প্রত্মতত্ত্ববিদেরা। মিশরীয়বিদ নিকোলাস রীভসের নেতৃত্বে স্পেনিশ প্রত্মতত্ত্ববিদদের একটি দল গত বছর সমাধি ক্ষেত্রের ছবি তুলে ত্রিমাত্রিকভাবে স্ক্যান করে তা প্রকাশ করেন। এদিকে, আমারনা রয়েল টমস প্রজেক্টের আরিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রকাশিত নিবন্ধে লেখেন, সমাধি ক্ষেত্রের স্ক্যানের সতর্ক মূল্যায়নে বলা যায়, সমাধি ক্ষেত্রে দুটি দরজার খোঁজ পাওয়া গেছে। এর একটিতে বড় দেওয়াল রয়েছে এবং দুটি অক্ষত মরদেহ দেখা যাচ্ছে। তিনি নিবন্ধে লেখেন, এই ডিজিটাল ইমেজকে যদি আমরা বাস্তবের সঙ্গে মিলিয়ে দেখি, তাহলে দেখা যাবে, সমাধি ক্ষেত্রের পশ্চিমপাশে প্রাচীন মিশরের তুতেনখামেন যুগের দুটি কক্ষ দেখা গেছে। এর মধ্যে উত্তরদিকের কক্ষে (যার সাংকেতিক নাম কেভি৬২) নেফারতিতির দেহ রাখা আছে। তিনি সফল শাসক ফারাও আখেনাতেনের জীবনসঙ্গী ছিলেন। তারা দুজন প্রাচীন মিশরে সফল শাসক দম্পতি হিসেবে পরিচিতি পান। গবেষক রীভস মনে করেন, সেই সময় পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক সভ্যতা বিদ্যমান ছিল প্রাচীন মিশরে। নেফারতিতি ৪০ বছর বয়সে ১৩৩০ খ্রিস্টপূর্বে মারা যান। তুতেনখামেন মারা যাওয়ার মাত্র কয়েক বছর আগে তিনি মারা যান বলে জানা গেছে। তার মৃত্যুর কারণ ছিল প্লেগ। ১৮ শতকের রাজ্য শাসকেরা ‘ভ্যালি অব কিংস’-এলাকায় নেফারতিতির সমাধি খুঁজে পাননি। যদিও এখানে খ্রিস্টপূর্ব ১৬ থেকে ১১ শতকে ফারাওকে সমাহিত করা হয়। নেফারতিতির নামের অর্থ হচ্ছে- ‘অপূর্ব সুন্দরীর আগমন ঘটেছে’। তার নামের প্রভাব তার রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় জীবনেও প্রভাব ফেলেছিল। গবেষক রীভস এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, নেফারতিতির মরদেহ প্রস্তর খণ্ডের ওপর রাখা এবং দেওয়ালে তার কীর্তিগাথা আঁকা রয়েছে। তার মুখ মুখোশ পরিহিত। নেফারতিতিকে সমাহিত করার সময় ভাবা হয়নি যে, তুতেনখামেনের স্থানও একই সমাধি ক্ষেত্রে হবে। পরে দশক জুড়ে যুদ্ধে রাজা ফারাওয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হয়। নেফারতিতির সমাধি ক্ষেত্র খননের সুযোগ ঘটলেও সংরক্ষিত বিধায় রাজা ফারাওয়ের সমাধি খনন করা হয়নি বলে রীভস উল্লেখ করেন।     একুশে সংবাদ ডটকম/এসএস/১৯.০৮.০১৫
Link copied!