AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

চূড়ান্ত রায়েও সালাউদ্দিন কাদেরের ফাঁসি বহাল


Ekushey Sangbad

১০:০৭ এএম, জুলাই ২৯, ২০১৫
চূড়ান্ত রায়েও সালাউদ্দিন কাদেরের ফাঁসি বহাল

একুশে সংবাদ : মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসির রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর তিন বিচারক হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। রায় ঘোষণার সময় আদালতে সাকা চৌধুরীর পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এস এম শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। এর আগে গত ৭ জুলাই উভয় পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে সাকা চৌধুরীর রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেছিলেন আপিল বিভাগ। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আপিল বিভাগের পঞ্চম রায় এটি। এর আগে আপিল বিভাগের রায়ের পর জামায়াতের দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আপিলের রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড ভোগ করছেন এবং আপিলের রায়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। এ ছাড়া শুনানি চলার মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধকালীন জামায়াতের আমির গোলাম আযম ও বিএনপির প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল আলীমের মৃত্যু হওয়ায় তাদের আপিলের নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর সকালে হরতালে গাড়ি পোড়ানোর একটি মামলায় সালাউদ্দিন কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয় ১৯ ডিসেম্বর। ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তার বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলামসহ মোট ৪১ জন সাক্ষ্য দেন। তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া আরো চারজনের জবানবন্দি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়। অন্যদিকে সালাউদ্দিন কাদেরের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন তিনি নিজেসহ মোট চারজন। ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। চট্টগ্রামের রাউজানে কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের মালিক নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যা, সুলতানপুর ও ঊনসত্তরপাড়ায় হিন্দু বসতিতে গণহত্যা এবং হাটহাজারীর এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ছেলেকে অপহরণ করে খুনের দায়ে সাকা চৌধুরীকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনা মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ৯টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন তিনি। গত ১৬ জুন আপিল মামলার শুনানি শুরু হয়। ৭ জুলাই দুই পক্ষের আপিল শুনানি শেষ হয়। আপিলে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। একুশে সংবাদ ডটকম/শান্ত/২৯.০৭.০১৫
Link copied!