প্রাণহানির পরই উচ্ছেদ অভিযানের তাড়া
একুশে সংবাদ : পাহাড় ধসে কক্সবাজার শহরে মা মেয়েসহ পাঁচজনের প্রাণহানির পর টনক নড়েছে প্রশাসনের। মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ শতাধিক বসতঘর উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে লোকজনকে সরে যেতে নিদের্শনা দিয়ে বিশেষ প্রচারাভিযানও চালানো হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি, সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মাজাহারুল ইসলাম এবং কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে পৃথক টিম সকাল থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে। এসময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিল।
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম জানান, কলাতলী লাইটহাউজ, শুকনাছড়ি মুজিবনগর, কলাতলী জেল গেট, ডিককুলসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শতাধিক বসতঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। টানা ভারি বর্ষণে কক্সবাজারে পাহাড় ধসের আশঙ্কা প্রকট হয়েছে। পাহাড় কেটে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে উচ্ছেদসহ বিশেষ প্রচারাভিযান চালানো হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমদ হোসেন জানান, দুটি পৃথক টিম মঙ্গলবার সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শতাধিক বসতঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সূত্রমতে, শনিবার রাত থেকে কক্সবাজারে ভারি বর্ষণ চলছে। এ প্রবল বর্ষণে কক্সবাজারে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্কবার্তা প্রচার করে জিওলজিক্যাল সার্ভে অব বাংলাদেশ। এ সংস্থার বিবরণীতে বলা হয়েছিল, কক্সবাজার, টেকনাফ ও চট্টগ্রামে যে কোনো সময় অতিরিক্ত বর্ষণের কারণে ভূমিধস হতে পারে।
এ খবর পেয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের পক্ষে সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে প্রচারণাও চালানো হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যে সোমবার দিনগত রাত ২ টায় কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাহারছড়ার কবরস্থান পাড়ার রাডার স্টেশনের পাহাড় ধসে ৪টি বাড়িতে চাপা পড়ে। এ ঘটনায় দুশিশু, দু’নারীসহ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় ২ জন। নিহতদের মঙ্গলবার সকালে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এরপর প্রশাসনের উদ্যোগে পাহাড় থেকে বসতি উচ্ছেদ শুরু হয়।
একুশে সংবাদ ডটকম/শান্ত/২৮.০৭.০১৫
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :