প্রেমিকের দু’হাত কেটে চোখ তুলে নিলো প্রেমিকার ভাইয়েরা
গোপালগঞ্জ: প্রেমের সাজা গুনতে হলো তুহিন মোল্লাকে। আঠারো বছরের এই যুবককে প্রেমের দায়ে বিসর্জন দিতে হলো জীবন। আপন চাচতো বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কারণে প্রেমিকার ভাইয়েরা তুহিনের শরীর থেকে দু’হাত কেটে নেয় এবং দু’চোখ তুলে ফেলে।
গুরুতর অবস্থায় ঈদের দিন শনিবার (১৮ জুলাই) দিনগত গভীর রাতে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়ার পথে মাওয়া-ফেরিঘাটে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও আহত হন তুহিন মোল্লার বাবা শওকত আকবর মোল্লা। তিনি বর্তমানে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার পাথালিয়া গ্রামে এ নির্মম ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বড় ভাই লায়েক মোল্লার মেয়ের সঙ্গে শওকত আকবর মোল্লার ছেলে তুহিন মোল্লার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মেয়ের পরিবার বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। ঈদের দিন বিকেলে তারা দু’জন বাইরে ঘুরতে যায়। বিষয়টি লায়েক মোল্লার ছেলেরা জানতে পেরে তুহিনকে বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে নিয়ে দা-চাপাতি দিয়ে কোপায় এবং দুই হাত কেটে শরীর থেকে বিছিন্ন করে দেয়। পরে দুই চোখও তুলে ফেলে তারা।
এ খবর শুনে শওকত আকবর মোল্লা সেখানে গেলে তাকেও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নেয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, তুহিন মোল্লা গভীর রাতে মারা গেছেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আপন চাচাতো বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় জড়িতরা এলাকা ছেড়ে পলিয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানান ওসি জাকির হোসেন।
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :