মহিলাদের অবশ্য প্রয়োজনীয় ১০ টি খাবার
একুশে সংবাদ : মহিলারা শুধু পুরুষদের থেকে শারীরিক গঠন, মানসিক কিংবা জীবগতভাবেই আলাদা নন, মহিলাদের পুষ্ঠিকর খাবারেও পার্থক্য আছে। এখানে আমরা সেই রকমই কিছু খাবারের আলোচনা করব যা মহিলাদের জন্য খুবই দরকার সুস্থ থাকার জন্য।
১) দুধ- যদিও সবারই রোজ দুধ খাওয়া দরকার, কিন্তু মহিলাদের জন্য একটু বেশিই দরকার। দুধের মধ্যে ক্যালসিয়াম, রিবোফ্রোবিন, ভিটামিন বি১২ আছে। দুধের মধ্যে এছাড়াও দরকারি পুষ্টি আছে। সুন্দর ত্বক, মজবুত দাঁত এবং হাড়, ওজন কমানো সবক্ষেত্রেই দরকারি। রোজ দুধ খেলে ব্রেস্ট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমে আসে ।
২) স্ট্রবেরি, জাম এদের মধ্যে অ্যান্টি ক্যান্সার এজেন্ট আছে। এরা নতুন সেল তৈরি করতেও সাহায্য করে। এরা ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন থেকেও রক্ষা করে।
৩) খাদ্যশস্যে ফাইবারের পরিমাণ খুব বেশি থাকায় পেটের অসুখ, যা সাধারণত মহিলাদের বেশি হয়, থেকে রক্ষা করে। বিভিন্ন হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস এবং ক্যানসারের রিস্ক ও অনেকটা কমিয়ে দেয়। ওটমিল, সাদা রুটি বা বাদামি চালে প্রচুর পরিমাণে কাব্রোহাইড্রেট এবং ফাইবার থাকে।
৪) যদিও ফলিক অ্যাসিড সবার জন্যই দরকার কিন্তু গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বেশি জরুরী। বিভিন্ন শাক পাতা, কমলা লেবু এদের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড থাকে, এরা হার্টকেও সুস্থ রাখে।
৫)আখরোট রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে খুব সাহায্য করে। রোজ অল্প পরিমাণে আখরোট খেলে হার্ট ও ভালো থাকে।
৬)পেয়ারা, কমলা লেবু, আঙুর, আপেল, কলা, স্ট্রবেরি এই সব ফলের মধ্য প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। এন্টি অক্সিডেন্ট ছাড়াও হার্টকে ভালো রাখে। মহিলারা রোজ ৭৫ মিলিগ্রাম করে ভিটামিন c খেলে উপকার পাবেন।
৭) বাঁধা কপি, ফুল কপি, পালং শাক, লেটুশ এদের সুপার ফুড বলা হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পলিফেনলস ভিটামিন, এ, বি এবং সি আছে।
৮) মহিলাদের প্রায়ি দেখা যায় রক্তালপ্তায় ভুগছেন। খাবারে তাই আয়রন বা লৌহের মাত্রা বাড়ানো দরকার। আয়রন শুধু হিমোগ্লোবিন তৈরি করতেই সাহায্য করে না মাসেল এবং ব্রেইন ফাঙ্কশন এরও উন্নতি ঘটায়। লাল মাংস , ডিমের কুসুম, বিনস, সোয়াবিন , মাছ, চিকেন এতে প্রচুর পরিমাণে লৌহ আছে। মহিলাদের রোজ ১২-১৫ মিলিগ্রাম লৌহ খাওয়া উচিত।
৯) দুধ, দই, ঘি, মাছ, সোয়াবিন ব্রোকোলি এই সব খাবারে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। শুধু মজবুত দাঁত বা শক্ত হাড় নয়, রোজ সঠিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম খেলে অস্টিওপোরোসিস থেকে বাঁচায় এবং রোগা হতে সাহায্য করে।
১০) অমাদের শরীরের ৭৫ ভাগই জল দিয়ে তৈরি। তাই রোজ ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল খাওয়া উচিত, এতে শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিনস বেরিয়ে যায়,হজম শক্তি বাড়ায় এবং রোগা হতেও সাহায্য করে।
একুশে সংবাদ/এম/ইয়াসমিন/০৯/০৭/১৫
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :