AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বাংলাদেশ-ভারত টেলি-সংযোগের কাজ শুরু এ সপ্তাহেই


Ekushey Sangbad

০২:০৫ পিএম, জুলাই ৭, ২০১৫
বাংলাদেশ-ভারত টেলি-সংযোগের কাজ শুরু এ সপ্তাহেই

একুশে সংবাদ : দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সরাসরি বাস-ট্রেন-নৌচলাচল শুরু হয়ে গেছে অনেক আগেই। দুদেশের গ্রিডকে সংযুক্ত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে, তাও বছর ঘুরতে চলল। এবার বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে টেলি-সংযোগের প্রক্রিয়াও এ সপ্তাহেই শুরু হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে ভারতে ‘ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ’ রফতানি করতে পারবে বাংলাদেশ। আর সেই সঙ্গেই বোধহয় আমূল বদলে যাবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবার ছবিটাও!   ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএল (ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড) সূত্রে আভাস মিলেছে, এই ব্যান্ডউইথ রফতানির জন্য যে অপটিক ফাইবার ক্যাবল পাতার কাজ করতে হবে, এ সপ্তাহের যে কোনও দিনই তার সূচনা হতে পারে।   বিএসএনএলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সার্কেলের চিফ জেনারেল ম্যানেজার ডি পি সিং জানান, ‘এই কাজটার জন্য বাংলাদেশের আখাউড়া থেকে ভারতের আগরতলা হয়ে আবার বাংলাদেশের কক্সবাজার অবধি লাইন পাততে হবে। সোজা কথায় কক্সবাজারে যে ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে ফর ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস (আইজিআইএস) আছে, তার সঙ্গে আখাউড়াকে সংযুক্ত করতে হবে ভারতের মধ্যে দিয়ে। এই লাইনটা ভারত নিজস্ব খরচেই বসাবে, আর তার বিনিময়ে বাংলাদেশের উদ্বৃত্ত ব্যান্ডউইথ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ব্যবহার করার সুযোগ পাবে!’   মি. সিং আরও জানিয়েছেন, এই কাজটা শুরু করে দিতে তারা একটা দিনও নষ্ট করতে চান না। বস্তুত তারা ভারতের তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের দফতর থেকে সবুজ সংকেতের অপেক্ষা করছেন- মন্ত্রী কবে এসে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে পারবেন। খুব সম্ভবত, এ সপ্তাহের যেকোনও দিনই মি. প্রসাদ আগরতলায় এসে প্রকল্পের কাজ শুরু করে দিয়ে যাবেন বলেও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।   বস্তুত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে ইন্টারনেট সেতুবন্ধন হতে যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক ঢাকা সফরেই সে প্রস্তাবে সিলমোহর পড়েছিল। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) ভারতকে তাদের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ‘লিজ’ দেওয়ার জন্য ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের (বিএসএনএল) সঙ্গে ঢাকায় সমঝোতায় সই করেছিল প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতেই।   সেটা ঠিক এক মাস আগেকার কথা– ৬ জুন। সেই চুক্তিতে সই-সাবুদ হওয়ার পর বিএসএনএল যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই প্রকল্প রূপায়নের কাজ শুরু করেছে, তা প্রায় নজিরবিহীন। সমঝোতায় সই হওয়ার মাত্র চার সপ্তাহের ভেতর তারা অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল পাতার সব প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে, যাতে এই দশ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ আমদানিতে এতটুকুও দেরি না-হয়!   ‘আসলে এটা আপনাকে বুঝতে হবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল কিন্তু বহুদিন ধরেই ‘নেট-স্টার্ভড’– অর্থাৎ বিপুল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এখানে ব্যান্ডউইথ ভীষণ কম। ফলে নেটের স্পিডও খুব হতাশাজনক। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের কাছ থেকে পাওয়া এই উপহার এই অঞ্চলের ইন্টারনেট অভ্যেসকেই শুধু বদলে দেবে না, এখানকার বাড়তি ব্যান্ডউইথ ভারতের অন্যান্য অংশেও পাঠানো যাবে’। বাংলা ট্রিবিউনকে এসব কথা-ই বলছিলেন বিএসএনএলের এক শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা।   আর এই বিপুল সুবিধার বিনিময়ে ভারতকে যে অর্থ খরচ করতে হচ্ছে, সেটাও খুব সামান্য বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, আখাউড়া-আগরতলা-কক্সবাজার ক্যাবল পাতার জন্য ভারত সরকারকে ১৯ কোটি ১৪ লক্ষ ভারতীয় রুপি খরচ করতে হবে। এছাড়া টেলিকম সংযোগের জন্য প্রতি বছর বিএসসিসিএলকে দিতে হবে ৮ কোটির ভারতীয় রুপির সমপরিমাণ অর্থ। সব মিলিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নেট মানচিত্র বদলানোর জন্য এই খরচটাকে নগণ্য বলেই ধরা যায়।   তবে এই বাড়তি ব্যান্ডউইথ ভারতে রফতানি করার জন্য বাংলাদেশকে রাজি করাতে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে বলেও বিএসএনএল কর্মকর্তারা স্বীকার করছেন।   ওই সংস্থার একটি সূত্র বলছিলেন, ‘গত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা তাদের বোঝাতে চেষ্টা করছিলাম, এই ব্যান্ডউইথ ভারতে রফতানি করলে দুদেশেরই লাভ, নয়তো সেটা শুধু শুধু নষ্ট হচ্ছে। তবে তাদেরও নিশ্চয় অন্য নানা বাধ্যবাধকতা ছিল, ফলে চট করে তারাও রাজি হতে পারেননি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক স্তরে বিস্তর আলোচনার পর অবশেষে তারা সম্মত হয়েছেন। বিএসএনএল আর বিএসসিসিএলের মধ্যে চুক্তিটা সম্ভব হয়েছে।’   আর সেই চুক্তির ফলেই এখন ত্রিপুরা বা নাগাল্যান্ডের যুবক-যুবতীরা ধরে নেওয়া যায়, অনেক সহজে নিজেদের সেলফি ফেসবুকে আপলোড করতে পারবেন, আর মনে মনে নিশ্চয় ধন্যবাদ দেবেন বাংলাদেশকে!   একুশে সংবাদ/এম/ইয়াসমিন/০৭/০৭/১৫
Link copied!