AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ঘুরে আসুন নিঝুম দ্বীপ


Ekushey Sangbad

০৫:১৪ পিএম, জুলাই ২, ২০১৫
ঘুরে আসুন নিঝুম দ্বীপ

একুশে সংবাদ : নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে ভরপুর বাংলাদেশের দক্ষিণে পর্যটন কেন্দ্র নিঝুমদ্বীপ। শুধু সৌন্দর্যেই নয়, প্রাকৃতিক সম্পদেও রয়েছে বিশাল সম্ভাবনা।   বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে জেগে ওঠা দ্বীপটির একদিকে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল তরঙ্গ, অন্যদিকে ছুটে আসা হিমেল হাওয়া আর সবুজের সুবিশাল ক্যানভাস দ্বীপটিকে দিয়েছে ভিন্ন এক রূপ বৈচিত্র্য।   যেভাবে শুরু এবং নামকরণ: ১৯৫০ সালের দিকে প্রায় ১৪,০৫০ একর এলাকা জুড়ে জেগে ওঠে দ্বীপটি। ওসমান নামের এক লোক প্রথম এই দ্বীপে বসতি স্থাপন করে। এই কারণেই সম্ভবত দ্বীপটিকে স্থানীয়রা 'ওসমানের চর' নামে ডাকে।   নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অর্ন্তগত নিঝুম দ্বীপ। একে 'দ্বীপ' বলা হলেও এটি মূলত একটি 'চর'। প্রায় ৬৩ বর্গমাইল আয়তনের এ দ্বীপটি হাতিয়ার মূল ভূখন্ড থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। রূপ-বৈচিত্র্যের-নিঝুম-দ্বীপ-এ-একবার-ঘুরে-আসুন দ্বীপটির চিত্র: ১৯৭০ সালের দিকে নিঝুম দ্বীপে স্থায়ীভাবে মানুষ বসবাস শুরু করে। যদিও ১৯৯৬ সালে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কথা মাথায় রেখে একে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়।   শুধু বাংলাদেশ নয়, বহির্বিশ্বের মানুষেরও এই দ্বীপটি নিয়ে আছে সীমাহীন কৌতুহল। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ, মানুষের জীবনযাত্রা আর সর্বোপরি হরিণের অভয়ারণ্য হিসেবে ইতোমধ্যেই বিশ্বমানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে দ্বীপটি। নদীপথে: - ঢাকা থেকে নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার সহজ রুটটি হলো- সদরঘাট থেকে লঞ্চে হাতিয়ার তমরুদ্দি। এ পথে দুটি লঞ্চ নিয়মিত চলাচল করে। এমভি পানামা এবং এমভি টিপু-৫।   - তমরুদ্দি থেকে স্কুটারে বন্দরটিলা ঘাট যেতে হবে। একসাথে ৩/৪ জন যাওয়া যাবে। স্কুটার ছাড়া বাস বা রিকসা করে বন্দরটিলা ঘাটে যাওয়া যায়।   - বন্দরটলা ঘাট থেকে ট্রলারে চ্যানেল পার হলেই নিজুম দ্বীপের বন্দরটিলা। চ্যানেল পার হতে সময় লাগবে ১৫ মিনিট। এটা নিঝুম দ্বীপের এক প্রান্ত, আসল গন্তব্য অন্য প্রান্তের নামা বাজার। বন্দরটিলা থেকে নামা বাজার যেতে হবে রিকশায়।   dsc_0239 সড়ক পথে: - বাস-ট্রেন ব্যবহার করে যেতে পারেন সেখানে। ঢাকার টিটি পাড়া, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ি থেকে প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত অনেকগুলো চেয়ারকোচ (একুশে এক্সপ্রেস, এশিয়া ক্লাসিক, বিআরটিসি) সরাসরি নোয়াখালীতে যাতায়াত করে। - বিকাল ৩:২০মি. কমলাপুর থেকে ছাড়ে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন। এছাড়া ঢাকা সায়েদাবাদ থেকে আধা ঘন্টা পর পর যাত্রীসেবা বাসগুলো ছাড়ে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে।   - নোয়াখালী সোনাপুর পৌঁছে সেখান থেকে যেতে হবে নোবিপ্রবি রোড হয়ে অথবা চর জব্বার রোডে চেয়ারম্যান ঘাট। বাস, টেম্পু বা বেবীতে সরাসরি ৬০ কিমি দক্ষিণে সুধারামের শেষ প্রান্তে চর মজিদ স্টিমার ঘাট হয়ে হাতিয়া যাবার চেয়ারম্যান ঘাট।   - চর মজিদ ঘাট থেকে ট্রলার কিংবা সী-ট্রাকে করে হাতিয়া চ্যানেল পার হয়ে যেতে হবে হাতিয়ার নলচিরা ঘাটে।   - নলচিরা বাজার থেকে যেতে হবে হাতিয়ার দক্ষিণে জাহাজমারা। - জাহাজমারা থেকে ট্রলারে সরাসরি নিঝুম দ্বীপ।   nijhum-deep1 যেখানে থাকবেন: নিঝুম দ্বীপে থাকার জন্য একমাত্র ভালো মানের জায়গা হলো অবকাশ পর্যটনের নিঝুম রিসোর্ট। তবে স্থানীয় বাজারে খুব সস্তায় অল্প দামে চার পাঁচটি আবাসিক বোডিং আছে।   - তাছাড়া বন বিভাগের একটি চমৎকার বাংলো আছে। পাশেই আছে জেলা প্রশাসকের ডাক বাংলো। এগুলোতে আগে ভাগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে থাকার ব্যবস্থা করা যায়। তাছাড়া রেড-ক্রিসেন্ট ইউনিট ও সাইক্লোন সেন্টারেও থাকার ব্যবস্থা করা যায়।   একুশে সংবাদ/এম/ইয়াসমিন/০২/০৭/১৫
Link copied!