মিয়ানমার থেকে সরাসরি বঙ্গোপসাগর হয়ে চট্টগ্রামে ঢুকছে ইয়াবার চালান-লে.কর্ণেল মিফতাহ উদ্দিন,অধিনায়ক র্যাব ৭
জাহাঙ্গীর আলম জনি ঃ বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর এলাকা ইয়াবা পাচারের ট্রানজিট পয়েন্টে পরিণত হয়েছে। মিয়ানমার থেকে সরাসরি লাখ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেটের চালান বন্দরের বহির্নোঙর হয়ে চট্টগ্রামে ঢুকছে। আবার চট্টগ্রামে হাত বদল হয়ে তা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে নির্বিঘ্নে পাচার হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম র্যাব ৭-এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।
বুধবার গভীর রাতে চট্টগ্রাম র্যাব ৭-এর একটি দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে বন্দরের কাছে বহির্নোঙর এলাকা থেকে কমপক্ষে ৫ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৭ পাচারকারীকে গ্রেফতার করে। আটককৃত এই ইয়াবার মুল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা।
লে. কর্ণেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, বুধবার রাত প্রায় ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর এলাকায় বঙ্গোপসাগরে একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান আটক করা হয়।
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী সীতাহার নামক এলাকা থেকে ইয়াবার চালানটি সরাসরি সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হচ্ছিল। চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় এনে চালানটি আরেকটি ট্রলারে স্থানান্তর করে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল ইয়াবা পাচারকারীদের। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে র্যাব অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ লাখ পিস ইয়াবার এই চালানটি আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় গ্রেফতার করা হয় ৭ ব্যাক্তিকে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. হান্নান (৪০), মো. লোকমান (৩৩), মো. রাসেল (৩০), মো. ইলিয়াস (১৮), অলি উল্লাহ (২১), রিয়াজ (১৯) ও ওসমান (২০)।
গ্রেফতারকৃতরা সবাই ইয়াবা বহনকারী বলে র্যাব নিশ্চিত হয়েছে। তবে মূল পাচারকারীদের কেউ ট্রলারে না থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
র্যাব জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে সমুদ্র পথে মিয়ানমার থেকে সরাসরি ইয়াবা পাচার হয়ে চট্টগ্রাম আসছে বলে তথ্য রয়েছে। র্যাব এ ব্যাপারে একাধিক নির্ভরযোগ্য সোর্স নিয়োগ করে ইয়াবার চালান আটকে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এই তৎপরতায় ব্যাপক সাফল্যও পাওয়া যাচ্ছে। গত ৬ মাসে র্যাবের অভিযানে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা মূল্যের ইয়াবা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে র্যাব সূত্র নিশ্চিত করে।
এদিকে র্যাবের পাশাপাশি কোস্ট গার্ড, বিজিবি, পুলিশ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর একাধিক অভিযান পরিচালনা করে একের পর এক ইয়াবার চালান আটক করলেও বন্ধ হচ্ছে না এর পাচার। মিয়ানমার থেকে সমুদ্র পথে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকাকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যাবহার করে দেশের বিভিন্নস্থানে পাচার হয়ে যাচ্ছে এই মাদক। এতে মরণ নেশায় আসক্ত হয়ে ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে দেশের তরুণ সমাজ।
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :