AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

তিনটা কারণেই আমরা এগিয়ে আছি : ফারুক খান


Ekushey Sangbad

১২:১৪ পিএম, এপ্রিল ১৮, ২০১৫
তিনটা কারণেই আমরা এগিয়ে আছি : ফারুক খান

একুশে সংবাদ : লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনিসুল হক সিটি নির্বাচনে জনগণের সমর্থন পেয়ে জয়লাভ করবে।নির্বাচনী প্রচারে কোনো ঘাটতি নেই। প্রার্থীও ভালো। প্রার্থী নিয়ে দলের মধ্যে কোনো বিরোধও নেই। সবাই তাকে বিজয়ী করার জন্য একযোগে কাজ করছে।দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক এই সম্পাদক বলেন, ব্যক্তিজীবনেও শত শত কোটি টাকার বহু প্রজেক্ট সফল্যের সাথে সমাপ্ত করেছেন। নির্বাচনের আরো বিভিন্ন দিক নিয়ে শুক্রবার সেনানিবাসে তার বাসভবনে কথা হয় প্রতিবেদক তানিম আহমের সঙ্গে। প্রশ্ন: ঢাকা সিটির উত্তরে সমন্বয়েক দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনতো সামনে কেমন মনে করছেন? উত্তর: আমি বলবো নির্বাচনী প্রচার ঠিকভাবেই চলছে। আমরা জনগণের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পাচ্ছি। তিনটা কারণেই আমরা এগিয়ে আছি। প্রথম কারণ আমাদের মনোনিত প্রার্থী আনিসুল হক একজন সৎ এবং সজ্জন ব্যক্তি। সেটা কেবল আমরা বলছি না গত ২০/২৫ বছর দেশের মানুষের কাছে এভাবেই পরিচিত। দুই, স্বাভাবিক ভাবে আওয়ামী লীগ তাকে সমর্থন জানিয়েছে। কারণ গত পাঁচ বছরে এই সিটি এলাকায় যে উন্নয়ন হয়েছে সেটা আমরাই করেছি। আগের মেয়র খোকা সাহেব তার মেয়াদে কোন কাজ করেননি। সন্ত্রাস, ছিনতাই এবং জঙ্গিবাদ ছাড়া কোন কিছুই করেনি। আর আমরা ক্ষমতায় আসার পর গত ছয় বছরে এ এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি এবং ছিনতাই কমে আসার পাশাপাশি এলাকার উন্নয়ন হয়েছে। তাই স্বাভাবিক ভাবে মানুষ আমরা যাকে সমর্থন দিয়েছি তাকে সমর্থন জানাবে। তিন নম্বর কারন হলো-মানুষ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করবে। তাদের কেমন উন্নয়ন হবে। এখানে আমাদের প্রার্থী এবং সমর্থনের মধ্যে তারা একটা ইউনিক কম্বিনেশন পেয়েছে। কারণ প্রার্থী যোগ্য। তিনি তার ব্যক্তি জীবনে শত শত কোটি টাকার প্রজেক্ট সাফল্যের সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছেন। আর আমরা তাকেই সমর্থন দিয়েছি। তাই তিনি সরকারের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে পারবেন। এই কারণে আমাদের প্রার্থী ভাল অবস্থানে আছে। তবে সবকিছুই জনগণের হাতে কারণ তারাই ভোটার এবং প্রার্থী পছন্দ করবে। তাদের সামনে বিভিন্ন প্রার্থী রয়েছে একদিকে আমাদের প্রার্থী। অন্যদিকে বিভিন্ন দলের প্রার্থী। তাদের দিকে তাকালেই আমরা দেথতে পারবো অতীতে কেউ এধরণের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন না ব্যক্তিজীবনে। মেয়র প্রার্থী মূল কাজ হল উন্নয়ন এবং সেবা। আর এই কাজ আমাদের প্রার্থী ছাড়া কেউ ব্যক্তিজীবনে করেনি। বরং তাদের ভিতরে এমন এমন প্রার্থী আছেন যারা ব্যক্তি জীবনে অসমর্থ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন বলে আমি মনে করি। যেমন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল তার বাবার(আবদুল আউয়াল মিন্টু) মনোনয়ন ফরমটাও ঠিকভাবে পূরণ করতে পারেনি। যে ব্যক্তি তার বাবার এক পৃষ্ঠার মনোনয়ন ফরম পূরণে ব্যর্থ হন। তিনি ২৪ লক্ষ লোকের লক্ষ লক্ষ কাজ কিভাবে করবেন। তার এ কাজটা আমরা দু’ভাবে দেখতে পারি। একভাবে বলতে পারি তিনি ইচ্ছা করেই এ ভূল করেছেন। হয়তো তার বাবা তাকে বলেছেন আমার নির্বাচন করার ইচ্ছা নেই। আমি কিছু দুষ্কর্ম করে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমার নির্বাচন করার ইচ্ছা নেই। সেক্ষেত্রে তিনি ইচ্ছা করেই ভূল করেছেন। সেক্ষেত্রে তিনি তার দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। অথবা তিনি ইচ্ছা করে ভুল করেননি ভুল হয়ে গেছে। যে ব্যক্তির এক পৃষ্ঠার একটা ফরম পূরণে ভুল করেন তিনি কিভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ করবেন। মানুষতো তার উপর ভরসা করতে পারবে? তাই আমি বলবো আমাদের প্রার্থী ছাড়া বাকি প্রার্থীদের তেমন অভিজ্ঞতাও নেই, সক্ষমতাও নেই। আর জনগণতো এমন কাউকে নির্বাচিত করতে পারেনা তাদের উপর ভিত্তি করে এমন একজনের ক্যারিয়ার গড়ে উঠবে। রাজনৈতিক পদে ব্যবসায়ীকে কেন মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে? আনিসুল হক শুধু একজন ব্যবসায়ী না। তিনি ব্যবসায়ী নেতাও বটে। শুধু ব্যবসায়ী হলে আমরা তাকে সমর্থন দিতাম না। আমরা ব্যবসায়ী নেতাকে সমর্থন দিয়েছি। কারণ আমাদের প্রার্থীর জন্য এমন একজন প্রার্থীকে খুঁজতেছিলাম যার উন্নয়ন এবং সেবার বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে। তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন। অতীতে আমরা দেখেছি খোকা সাহেবকে যার দল ক্ষমতাই ছিল তখনও তিনি জনগণের সেবা করতে পারেনি। পরবর্তীতেও তার দুষ্কর্মের জন্য পারেননি। আর তিনি এতই দুষ্কর্ম করেছেন যার কারণে তিনি পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আর ব্যবসায়ীরাতো আমাদের সমাজের বাহিরের কেউ না। আর তিনি ব্যবসায়ী নেতা। যিনি বিদেশে সফলভাবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আমাদের স্বার্থ উদ্ধার করেছেন। ইউরোপিয় ইউনিয়নেও আমাদের হয়ে লড়েছেন। যার কারণে আমরা সেখানে তৃতীয় গ্রেড থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছি। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি হিসাবে স্বার্থক ভাবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। পরবর্তীতে সার্ক চেম্বারের সভাপতি হিসাবে দেশের সফল প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এসব বিবেচনা করেই আমরা তাকে সমর্থন দিয়েছি। অন্যদিকে তিনি ব্যক্তি জীবনেও একজন সৎ মানুষ হিসাবে পরিচিত। কারণ এত বছর ধরে তিনি ব্যবসা করছেন কিন্তু তার নামে কোন অভিযোগ নেই। মেয়র পদে একক প্রার্থী কিন্তু বারবার চেষ্টা সত্বেও কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থীতা দেওয়াতে ব্যর্থ কেন? প্রথম উত্তরটা হলো এটা একটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন তাই একশত ভাগ এটা করা সম্ভব না। তারপরও আমি বলবো বাংলাদেশে অতীতে যতগুলো মেয়র নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি একক প্রার্থী আমরা দিতে পেরেছি। আমাদের দলে অনেক যোগ্য প্রার্থী আছে যারা দলীয় নমিনেশন চেয়েছেন। আলোচনার মাধ্যমে আমরা উত্তরের অধিকাংশ ওয়ার্ডে একক কাউন্সিলর প্রার্থী নির্ধারণ করতে পেরেছি। ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ওয়ার্ডে আমরা পারিনি। যাদেরকে করতে পারিনি তাদের ক্ষেত্রে এখনোও চেষ্টা চলছে। তাদেরতো প্রত্যাহার করার সুযোগ নেই। তবে আমরা যাকে সমর্থন দিয়েছি তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে কাজ করছে আমাদের কর্মীরা। তবে আমি বলবো আমাদের সমর্থিত প্রার্থী যারা কিংবা আমাদের মনা প্রার্থী আছেন তাদের কারণে আমাদের মেয়র প্রার্থী আনিসুল হকের কোন সমস্যা হবে না। যারা সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে? সাংগঠনিক পদক্ষেপ আমরা অবশ্যই নিব, যিনি দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন। সেটা দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেকই হবে। কারণ আ. লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। এ দলে যে কেউ ইচ্ছা করলেই কাউকে বহিষ্কার করতে পারবেন না।কাউকে বহিষ্কার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। বহিষ্কারের জন্য সাংগঠনিক একটি পদ্ধতি আছে। প্রথমে একটি শোকজ চিঠি দেওয়া হবে। যার মধ্যে আপনি সাত থেকে দশদিন সময় পাবেন। তারপর আপনি চিঠির জবাব দিবে এবং সে চিঠির জবাব নিয়ে ওয়ার্ড কিংবা থানা পর্যায়ে আলোচনা হবে। তারা উপরে জানাবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখে মুখে বললেতো হবে না। তবে যারা দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে কাজ করছেন তাদের বিরুদ্ধে দল সিদ্ধান্ত নিবে। তবে এখন অনেকেই নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে দলীয় প্রার্থীর হয়ে কাজ করছেন। আর এখনো যারা করেননি তারাও অচিরেই দলীয় প্রার্থীর হয়ে কাজ করবেন বলে আমি আশাকরি। কিছু কাউন্সিলর প্রার্থী অভিযোগ করছে স্থানীয় সংসদ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন? এ অভিযোগ সত্যি নয়। যিনি সংসদ সদস্য আছেন তিনি দলের দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে যেতে পারেন না। আমার মনে হয় এধরণের ঘটনা ঘটেনি। দুই একটি ঘটনায় কাউন্সিলর প্রার্থী মনে করছেন যে সংসদ সদস্য আমাকে সমর্থন না করে আরেকজনকে করেছেন। নির্বাচনে যে কেউ এটা মনে করতে পারেন। তবে আমরা স্থানীয় সংসদ সদস্যদের স্পষ্ট ভাষায় বলেছি। দলীয় সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও জাতীয় নির্বাচনের প্রভাব আছে এ নির্বাচনে। এক্ষেত্রে মানুষ কোন বিষয়টাকে গুরুত্ব দিবে? স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তিনটি বিষয় কাজ করে। প্রথম হলো স্থানীয় সমস্যা। উন্নয়ন এবং সেবা। সেক্ষেত্রে জনগণ এটা হিসাব করবে আমরা কোন প্রার্থীর কাছে কাঙ্খিত সেবা পাবো। দ্বিতীয় রাজনীতির একটা প্রভাব পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা যারা উন্নয়নের, দেশকে সামনে নিয়ে যাওয়ার রাজনীতি করেছি জনগণ সেটা দেখবে। অন্যদিকে যারা হরতাল-অবরোধের নামে পেট্রলবোমা মেরে মানুষের ক্ষতি করেছে। সেটা বিএনপি সমর্থিত লোকেরও হয়েছে। যারা জনগণকে পেট্রলবোমা মারে তাদের এদেশের জনগণ সমর্থন করতে পারে না। তৃতীয় হলো মানুষ আগামীর কথাও চিন্তা করবে। আগামীতে কি ধরণের ঢাকা শহর হবে মানুষ সেটাও বিবেচনা করবে বলে আমি মনেকরি। অনেক প্রার্থী অভিযোগ করছে তাদের প্রচারণায় বাধা দেওয়া হচ্ছে? বিএনপি-জামায়াত জোট মিথ্যা অসত্য বক্তব্য দিতে ওস্তাদ। তাদের কোন কথা দেশবাসী গ্রহণ করবে না। এখন পর্যন্ত যে অভিযোগ করেছে তার পক্ষে কোন প্রমাণ তারা দিতে পারেনি। আমরা দেখতে পারছি যে, তাদের মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীরা ঘুরে ঘুরে তাদের প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। ভোটারদের কাছে যাচ্ছে। তবে তারা যদি এমন কোন প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে থাকেন যিনি গত কয়েকমাস যাবত বোমাবাজি করছে, মানুষ হত্যা করেছে। নির্বাচনের নামে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়ার কোন কারণ কি আছে? আইন আইনের গতিতেই চলবে। নির্বাচন নির্বাচনের গতিতেই চলবে। পৃথিবীর কোন দেশেই এমন আইন নাই যে, আমি নির্বাচন করলে আমার অতীতের সকল অপরাধ মাফ হয়ে যাবে। আর এমন আইন নেই যে নির্বাচিত হলে আমার সকল অপরাধ মাফ হয়ে যাবে। যে দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিবে পুলিশ। নির্বাচনি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা অভিযোগ করছে তাদেরকে নির্বাচনি কাজ চালাতে দেয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে কি বলবেন? বোমাবাজদের সাথে উন্নয়নকামীদের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কিভাবে হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড গ্রাউন্ড হচ্ছে একধরণের শয়তানি কথা। এটার মাধ্যমে বলার চেষ্টা করা হচ্ছে আমি অতীতে যে ভুল-ত্রুটি করেছি তা মাফ করে দিয়ে আমাকে নির্বাচনের সুযোগ দিতে হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড গ্রাউন্ড বলতে কোন শব্দ নেই। কারণ বিএনপি-জামায়াত এমন কর্মকান্ড করেছে সামনে আর কখনো তাদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে না। মানুষতো তাদের সহিংসতার কথা ভুলে যাবে না। তাই তাদের মনমতো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কখনো হবে না। তবে নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হয়েছে। কারণ সকলের জন্য আইন এক। কারণ আমাদের প্রার্থীরা এখনো কোথাও গিয়ে জনসভা কিংবা শো-ডাউন করেনি। কারণ নির্বচনী আইন সকলের জন্য সমান। আমরা নির্বচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে এককদম এগিয়ে। কারণ উত্তরে আমাদের সমর্থিত প্রার্থী প্রতীক পছন্দ করেছিল ঘড়ি কিন্তু বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীও ঘড়ি প্রতীক পছন্দ করেছিল। কিন্তু আমরা প্রভাব না খাটিয়ে লটারী মাধ্যমে এ প্রতীক পেয়েছি। সেখানে আমাদের প্রার্থী পরে লটারী কাগজ তুলেছে। সেখানে বিএনপির প্রার্থী আগে কাগজ তুলে বাস প্রতীক পেয়েছে যে বাস ওনারা জ্বালিয়েছেন। আমিতো মনে করি আল্লাহ সঠিক প্রতীক তাদের দিয়েছেন। আপনাদের প্রার্থী কোন বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন কিনা? আমরা কোন সুযোগ-সুবিধা চাই না। মিটিং-এ আমি তাকে বলেছি আমরা আইন মেনে চলবো্। আমরা সেটাই করেছি। আমরা কোন জনসভা কিংবা শো-ডাউনও করিনি। আমাদের প্রার্থী জনসংযোগ করছেন হেটে হেটে। দৌড়ে দৌড়ে। এমনকি তার গাড়িতে কোন পোষ্টার নেই। আমরা জনগণের শক্তিকে বিশ্বাস করি আর সেখানেই আমরা যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। জাতীয় নির্বাচনের আগে আমরা বলেছিলাম বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীর বিচারসহ অন্যান্য হত্যার বিচার করবো। আমরা সেটা বাস্তবায়ন করছি। স্থানীয় সরকার নির্বাচন কি দলীয়ভাবে হওয়া উচিত? এদেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচন গুলো দলীয় ভাবে হওয়া উচিত। কারণ এটা আসলেই দলীয়ভাবেই হয় কিন্তু উপরে উপরে আমরা বলি এটা নির্দলীয়। সুতারাং এই গ্যাপটা রাখা উচিত হবে না। পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতেও স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে হয়। এ নির্বাচন যে দলীয় ভাবে না সেটা অনেকটা অগণতান্ত্রিক। রাষ্ট্রের সবকিছু যখন দলীয়ভাবে হয় তখন এ নির্বাচন কেন নির্দলীয় ভাবে হবে। এটা অগণতান্ত্রিক চিন্তা চেতনার ফসল। এটা হয়েছে আইয়ুব খানের শাসন আমল থেকে। রাষ্ট্রীয় নির্বাচনে জয়ী হতে পারি না। তাই স্থানীয় নির্বাচনে নিজের কিছু লোক বসায়। ভোটারদের উদ্দেশ্য কিছু বলবেন কি না? ভোটারদের প্রতি আমরা বলবো, আমরা এমন একজনকে প্রার্থী করেছি যিনি সজ্জন, ব্যক্তি জীবনে সৎ এবং মার্জিত । ভো্টারা তার উপর বিশ্বাস রাখেতে পারেন নির্বাচিত হলে তিনি ভোটারদের হয়ে কাজ করবেন। সরকারের সাথে সমন্বয় রেখে তাদের কাঙ্খিত উন্নয়ন পৌঁছে দিতে পারবে। সেনানিবাস এলাকার সেনা সদস্যদের ভোটার কারার আহ্বান জানান তিনি। এই এলাকার মানুষ সিটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারছে না। নাগরিক সেবা তাদেরও পাওয়ার অধিকার রয়েছে। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৮-০৪-০১৫:
Link copied!